প্রাচীন জীব বিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা

বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার তুলনায় জীববিজ্ঞানকে প্রাচীনতম বিজ্ঞান হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। কারণ বাঁচার তাগিদে আদিম মানুষকে প্রকৃতি থেকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে নিতে হয়েছে। গাছপালা থেকে তারা ফল, মূল, বীজ সংগ্রহ করত কিংবা পশু শিকার করত। প্রয়োজন মেটানোর জন্য কাঠ, পাথর, লোহা ইত্যাদিও সংগ্রহ করতে হত।

 

গাছের ফল মাত্রই আহরণযোগ্য নাও হতে পারে, সেই কারণে কোন্ গাছের ফল আহরণযোগ্য ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, কোন্ ফল সুস্বাদু বা কোন্ ফল ব্যবহারযোগ্য নয়, ক্ষতিকর তা পরীক্ষানিরীক্ষা করে ঠিক করতে হত। আবার যেসব পশুপাখি তারা শিকার করত তাদের স্বভাব, বাসস্থান, আচার-আচরণ সম্বন্ধে ধারণা জন্মায়।

 

এইভাবে পরোক্ষভাবে মানুষের ব্যবহারিক উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণীবিদ্যা সম্বন্ধে জ্ঞান হয়েছিল। প্রয়োজনের তাগিদে এভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞানলাভই হল জীববিজ্ঞানের সূত্রপাত। খ্রিস্টপূর্ব 2500 অব্দে “ঋগ্বেদ”, “মনুসংহিতা”, “অগ্নিপুরাণ” প্রভৃতি হিন্দুশাস্ত্রে উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাসের প্রাথমিক অবস্থা লক্ষ করা করা যায়। প্রাচীনকালের জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে চরক, সুশ্রুত, অ্যারিস্টট্ল ও ডারউইনের অবদান উল্লেখযোগ্য।

Post Comment

You May Have Missed