জীবনের বিজ্ঞান
সজীব বস্তু সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সঠিক আলোচনা করা হয় বলে জীববিজ্ঞানকে বলা হয় জীবনের বিজ্ঞান। কিন্তু জীবন
কী? কীভাবে জীবন সৃষ্টি হল? কোন্ প্রকারের জীব প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল? বর্তমানের উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সৃষ্টি হতে
কতদিন সময় লেগেছিল? এরূপ নানান প্রশ্নের উত্তর জানাই হল জীববিজ্ঞান চর্চার উদ্দেশ্য। জীববিজ্ঞানের বহু প্রশ্নেরই সঠিক
ও গ্রহণযোগ্য উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। জীবদেহ বিভিন্ন জড় বস্তু (জৈব ও অজৈব) দিয়েই তৈরি হয়। কিন্তু গঠন ও কার্যগতভাবে জড় বস্তুসমূহের ঐক্যবদ্ধ ও বিশেষ এক ভৌত রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় নতুন বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, এটিই হল জীবন। সজীব বস্তুর মধ্যে যেসব বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় তাদের সম্বন্ধে বিশদভাবে জানাকেই জীবনের বিজ্ঞান বলে।
একটি সজীব কোশকে জীবনের আধার বলা যেতে পারে, কারণ তা এককভাবে জীবনের সব ধর্মগুলি পালনে সমর্থ।
বহুকোশী জীবের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও তন্ত্রের সমন্বয়ে জীবনের ধর্মগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বৈচিত্র্যময় জীবজগতে নানান স্তরের
উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের বহির্গঠন, অন্তর্গঠন, কোশীয় গঠন, শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া, জনন পদ্ধতি প্রভৃতি জীবন বিজ্ঞানের জানার বিষয়। অপরপক্ষে, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যও লক্ষ করার মতো। প্রোটোপ্লাজম গঠনকারী মৌল, কোশপর্দার গঠন, উৎসেচক, প্রোটিন সংশ্লেষ, বংশগতি বস্তু ও বংশানুসরণ পদ্ধতি প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যে এককোশী বা বহুকোশী, উদ্ভিদ বা প্রাণী সব ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ নিয়ম অনুসৃত হয়।
Post Comment