গ্রিনহাউস প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনা কমানোর উপায় কী? (What are the means to decrease the green house effect and global warming condition?) :
পৃথিবী জুড়ে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে তথা গ্রিনহাউস প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করা বা রাতারাতি কমিয়ে ফেলার সুনির্দিষ্ট কোনো উপায় এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এই কাজের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রতিটি মানুষকে কাজ করতে হবে। তবে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে গ্রিনহাউস প্রভাব ও বিশ্বব্যাপী উন্নতা বৃদ্ধির হার প্রশমিত করার জন্য কয়েকটি উপায়ের কথা উল্লেখ করেছেন তা আলোচনা করা হল:
(১) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যথা-কয়লা, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি খনিজ পদার্থ ও তৈলের ব্যবহার কমালে কার্বন ডাইঅক্সাইডের বৃদ্ধি অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হবে।
(i) বিভিন্ন প্রকার অপ্রচলিত শক্তি যেমন-সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জোয়ারভাটার শক্তি, ভূতাপীয় শক্তির ব্যবহার বাড়ালে গ্রিনহাউস প্রভাব কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে।
(iii ) ইচ্ছেমতো বনভূমি ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে। পুরোনো বৃক্ষের মৃত্যুর পর তার জায়গায় নতুন চারাগাছ লাগাতে হবে। তা ছাড়া বৃক্ষরোপণ উৎসবের মাধ্যমে বনসৃজন করলে বনভূমি অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড টেনে নিয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করবে। ।
(iv) ক্লোরোফ্লুরো কার্বনের উৎপাদন ও ব্যবহার আইন করে বন্ধ করতে হবে
(v) গ্রিনহাউস প্রভাবের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
(vi) এ ছাড়া স্থিতিশীল উন্নয়নের ‘এজেন্ডা-21’ সবাই যাতে মেনে চলে সে-বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
■ গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা গ্রিনহাউস প্রভাবের ভবিষ্যত:
(i) পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে মেরু অঞ্চলে জমে থাকা বরফ গলে সমুদ্রে মিশে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
(ii) সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার জন্য সমুদ্রের উপকূল ভাগের নীচু জমিগুলি জলমগ্ন হবে। এই তালিকায় এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, চিন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ অবস্থিত।
(iii) উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দাবানলের মাধ্যমে বনভূমি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। (iv) বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনের জন্য ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে। পানীয় জল এবং চাষবাসের সমস্যা দেখা দেবে।
(v) সমগ্র জীবজগৎ ও তার বাস্তুতন্ত্রের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
Post Comment