কঠিন বর্জ্যের নিয়ন্ত্রণ
কঠিন বর্জ্যের নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব উপায় গ্রহণ করা হয় সেগুলি প্রধানত-রিসাইক্লিং, রিডাকশন বা হ্রাসকারণ, বার্নিং বা ভস্মীভূতকরণ এবং ডাম্পিং বা ভরাটকরণ।
① রিসাইক্লিং বা পুনরুৎপাদন (Recycling): টিন, অ্যালুমিনিয়াম, কাঁচ, প্লাস্টিক, পলিথিন, কাগজ, কার্ডবোর্ড ইত্যাদির বর্জ্যগুলি বিশেষ উপায়ে পুনরায় নতুন করে উৎপাদন করা হয়।
② রিডাকশন বা হ্রাসকরণ (Reduction): বিভিন্ন জঞ্জাল বা গারবেজ (garbage) বং অন্যান্য জৈব বর্জ্য শহরতলী থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করা হয়। সেগুলি থেকে বিশেষ উপায়ে কম্পোস্ট সার, জৈব গ্যাস (biogas) এবং কৃষিজ সার (manure) উৎপাদন করা হয়।
③ ভস্মীকরণ বা বার্নিং (Burning): শুষ্ক দাহ্য কঠিন বর্জ্যগুলিকে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। মুক্ত স্থানে পোড়ালে দুর্গন্ধ বেরোয় এবং বায়ুদূষণ ঘটে। কিন্তু বিশেষ দহন প্রকোষ্ঠে (cumbustion chamber) 1650°C বিনা অক্সিজেনে দহন ঘটালে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয় না, ফলে বায়ু দূষণ ঘটে না। ④ ডাম্পিং বা ভরাটকারণ (Dumping): কম ক্ষতিকারক কঠিন বর্জ্যগুলিকে যেমন-মাটি, ধুলো-বালি, অর্ধপচনশীল জৈব পদার্থ ইত্যাদি নীচু জমি, খানা, গর্ত ইত্যাদি ভরাটের কাজে ব্যবহৃত হয়।
▶ কঠিন বর্জ্যের পৃথক্করণ:
কঠিন বর্জ্য পদার্থের নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বর্জ্য পদার্থ নিকাশ করা ও পৃথক্করণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবুজ রঙের ডাস্টবিনে জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য (Biodegradable water) এবং নীল রঙের ডাস্টবিনে জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য (Non-biodegradable water) নিক্ষেপ করা হয়।
Post Comment