এককোশীয়তার সুবিধা ও অসুবিধা লেখ

এককোশীয়তার সুবিধা (Advantages of Unicellularity):

 

  1. একটি কোশের মধ্যে সবরকম জৈবনিক ক্রিয়া সংঘটিত হয় বলে এককোশী জীব অনেক স্বাবলম্বী।

 

  1. জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য সীমিত পরিমাণ শক্তি খরচ করলে চলে।

 

  1. কেবলমাত্র বিভাজনের মাধ্যমে জনন সম্পাদিত হয় বলে, এককোশী জীবের প্রকৃত মৃত্যু নেই।

 

  1. এককোশী জীব কখনও বার্ধক্যজনিত জরার শিকার হয় না।

 

  1. পরিবেশে এককোশী জীবের অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি।

 

  1. প্রতিরক্ষা, পাচন, বর্জ্যপদার্থ দূরীকরণ, শ্বসন প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় জৈবনিক কার্যসাধনের জন্য বিশেষ কোনো তন্ত্র বা অঙ্গসংস্থানের প্রয়োজন হয় না।

 

  1. দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে।

 

• এককোশীয়তার অসুবিধা (Disadvantages of Unicellularity):

 

  1. অতি সরল গঠনশৈলী দ্বারা এককোশী জীবদেহ গঠিত বলে কেবল জলীয় মাধ্যম ছাড়া এদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। 
  2. একটি কোশকে সবরকম কাজ করতে হয় বলে এককোশী জীব অনেক চাপের মুখে থাকে ও কোশের কোনো বিশ্রাম দশা থাকে না বললেই চলে।

 

  1. জননের সময় এককোশী জীবের ক্ষেত্রে অপত্য জীবদের মধ্যে কোশীয় পদার্থের সমবণ্টন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক ক্ষেত্রেই কম থাকে বলে তাদের প্রকৃতিগতভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

  1. সামগ্রিকভাবে এদের প্রতিরক্ষা দানের ক্ষমতা কম থাকে।

 

  1. অন্তঃকোশীয় পাচন ঘটে বলে, লাইসোজোমের প্রভাবে কোশের নিজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।

 

  1. জলীয় মাধ্যমে থাকে বলে এককোশী জীবকে বিশেষ সক্রিয় অসমোরেগুলেশন ব্যবস্থা নিতে হয়। 

 

  1. পরিবেশীয় প্রতিকূলতায় মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি বলে, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অত্যধিক প্রজনন হার দরকার হয়

Post Comment

You May Have Missed