এককোশীয়তার সুবিধা ও অসুবিধা লেখ
এককোশীয়তার সুবিধা (Advantages of Unicellularity):
- একটি কোশের মধ্যে সবরকম জৈবনিক ক্রিয়া সংঘটিত হয় বলে এককোশী জীব অনেক স্বাবলম্বী।
- জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য সীমিত পরিমাণ শক্তি খরচ করলে চলে।
- কেবলমাত্র বিভাজনের মাধ্যমে জনন সম্পাদিত হয় বলে, এককোশী জীবের প্রকৃত মৃত্যু নেই।
- এককোশী জীব কখনও বার্ধক্যজনিত জরার শিকার হয় না।
- পরিবেশে এককোশী জীবের অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি।
- প্রতিরক্ষা, পাচন, বর্জ্যপদার্থ দূরীকরণ, শ্বসন প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় জৈবনিক কার্যসাধনের জন্য বিশেষ কোনো তন্ত্র বা অঙ্গসংস্থানের প্রয়োজন হয় না।
- দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে।
• এককোশীয়তার অসুবিধা (Disadvantages of Unicellularity):
- অতি সরল গঠনশৈলী দ্বারা এককোশী জীবদেহ গঠিত বলে কেবল জলীয় মাধ্যম ছাড়া এদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
- একটি কোশকে সবরকম কাজ করতে হয় বলে এককোশী জীব অনেক চাপের মুখে থাকে ও কোশের কোনো বিশ্রাম দশা থাকে না বললেই চলে।
- জননের সময় এককোশী জীবের ক্ষেত্রে অপত্য জীবদের মধ্যে কোশীয় পদার্থের সমবণ্টন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক ক্ষেত্রেই কম থাকে বলে তাদের প্রকৃতিগতভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- সামগ্রিকভাবে এদের প্রতিরক্ষা দানের ক্ষমতা কম থাকে।
- অন্তঃকোশীয় পাচন ঘটে বলে, লাইসোজোমের প্রভাবে কোশের নিজস্ব ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- জলীয় মাধ্যমে থাকে বলে এককোশী জীবকে বিশেষ সক্রিয় অসমোরেগুলেশন ব্যবস্থা নিতে হয়।
- পরিবেশীয় প্রতিকূলতায় মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি বলে, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অত্যধিক প্রজনন হার দরকার হয়
Post Comment