পরিবেশগত বিষয় সংক্রান্ত কার্যকারী আন্দোলন [Successive Stories Addressing Environmental Issues)

পরবেশগত বিশ্বয় বা l আস্থাতি যে আন্দোলনগুলি হয়েছিল সেগুলি হল-চিপকো আন্দোলন, প্রসোলী গ্রাম ঘরাজ্য মন্ডল এখোলন, গাইলেন্ট ম্যালি জান্দোলন এবং অমৃতা দেবী বিপনোই (জয়পুর) আপোলন। # চিপকো আন্দোলন (Chipko Movement): চিপকো আন্দোলন বা দ্বিশকো মুভমেন্ট হল একতাকার আন্দোলন মা গান্ধীবাদী আদর্শে প্রতীয়মান সত্যাগ্রহ এবং অন্যান্য অরিসেবালী আন্দোলনকে অনুসরণ করে। এই আন্দোলনের রূপরেখা হল গাছকে জড়িয়ে ধরে রোখে বা যে কোনো উপায়ে তাকে রক্ষা করা। 19্যাত খ্রিস্টাব্দে উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল হিমালয় থেকে আধুনিক উপকো আন্দোলনের সূত্রপাত হয়, যা উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। চিপকো আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার রোন নামক গ্রামে। 1972 খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে অশিক্ষিত উপজাতি মহিলারা পাহাড়ী অঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেন। এরপার 10173 খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল এলাহবাদের কাছে গোপেশ্বর গ্রামে সিমন নামক একটি কোম্পানি টেনিস ব্যাকেট তৈরি করার জন্য ১০০টি গাছ কাটতে আসে। তাদের কাছে বনদপ্তরের বৈধ অনুমতিপত্র থাকলেও গ্রামবাসীরা তালো নিরস্ত করার জন্য গাছগুলিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং স্লোগান ও স্নাম বাজিয়ে ঠিকাদারদের তাড়ান। কয়েক সপ্তাহ পরে একই ঠিকাদার ৪০ কিমি দূরে রামপুর ফাটা গ্রামে গাছ কাটতে আসলে জনগণের চেস্টায় এবারও তারা ব্যর্থ হন। 1978 খ্রিস্টাব্দে আদিবাসীয়া লোভী বণিকদের হাত থেকে গাছগুলিকে রক্ষা করতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। 1974 খ্রিস্টাব্দে ২৫০ বছর নিরক্ষর প্রৌঢ়া গৌরীদেবীর নেতৃত্বে ১১ জন মহিলা চিপকো আন্দোলনের সার্থক রূপ দেন।

চিপকো আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল নিরক্ষনর গ্রামবাসী বিশেষত মহিলারা এই আন্দোলন উচালনা করেন এবং এটি একটি গান্ধীবাদী বা অহিংস আন্দোলন। শিক্ষার অভাব থাকলেও নিবাসীরা অনুভব করেছিলেন যে বৃক্ষ হল প্রকৃতির সম্পদ এবং যথেচ্ছ বৃক্ষ ছেদনে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। চিপকো আন্দোলনের মূল মন্ত্র ছিল পাঁচটি । অর্থাৎ Food, Fodder, Fuel Fibre Fertilizer উৎপাদনকারী বৃক্ষ রোপণ করা ও তাদের রক্ষা করা। এই আন্দোলনের সক্রিয়তা প্রথম 1974 খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ লক্ষ করা যায়, যেখানে উত্তরাখণ্ডের, চামোলি জেলার হেমওয়াল যাটির রেনি নামক গ্রামের বেশ কিছু সংখ্যক মহিলা গাছ কাটায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। 1980 খ্রিস্টাব্দে এই আন্দোলন বৃহৎ আকারে সমগ্র ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের বন্যভূমির প্রতি মূল্যবোধ গড়ে তোলে। এই চিপকো আন্দোলনের নেতা ছিলেন ‘সুন্দরলাল বহুগুণা’।

এই আন্দোলন শুধুমাত্র বনসংরক্ষণ আন্দোলন রূপে সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি ভবিষ্যতের বিভিন্ন পরিবেশবিদদের মধ্যে আদর্শের সঞ্চার করে। 1987 খ্রিস্টাব্দে এই আন্দোলনকে ‘Right Livelihood Award’ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। এই আন্দোলনের সূত্রপাতে মানুষের মধ্যে পরিবেশজনিত আনের অক্ষমতার হ্রাস প্রাপ্তি ঘটে।

এই চিপকো আন্দোলনের ফলে ‘গাড়োয়াল হিমালয়’ পরিবেশজনিত জ্ঞানের প্রাণকেন্দ্র ৰূপে খ্যাতি লাভ করে। গাড়োয়ালী ভাষায় এই চিপকো
আন্দোলনের গানটি ছিল।

“মাতু হামর, পানি হামর, হামারা হি ছা

ইয়ি বাউ বি….. পিতরো না লাগাই বাউ,

হামুনাহি টা বাঁচাও ডি’যার অর্থ হল মাটি আমাদের, জল আমাদের, আমাদের হল সকল বন। আমাদের পূর্বপুরুষ যা উৎপাদিত করেছেন, আমরা তা যে-কোনো উপায়ে রক্ষা করব।

গ্রামের গ্রামবাসীরা প্রধানত মহিলারা নিজেদেরকে ছোটো ছোটো ভাগে বিভন্ত করে, এই আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। 1971 খ্রিস্টাব্দে অক্টোবর মাসে, স্যাঙ্গ কর্মীরা, গোপেশ্বরের বনদপ্তরের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। ওই কর্মীরাই বনের গাছগুলিকে জড়িয়ে ধরে থাকে, এইভাবে তারা অহিংসভাবে অরণ্যব্বংসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, যাকে চিপকো নীতি বলা হয়। যা হল অহিংসবাদী প্রতিবাদ। এই প্রকার পরিবেশীয় বাধা এবং অরণ্য ধ্বংসের ফলে উত্তরাখন্ডের গ্রামের মহিলারাই প্রধানত প্রভাবিত হয়। তাই বেশি সংখ্যায় মহিলারা প্রধানত এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কিছু বিশিষ্ট আন্দোলনকারীদের মধ্যে হলেন-গৌরী দেবী, সুদেশা দেবী, বাহনী দেশী, সুন্দরলাল বহুগুণা, গোবিন্দ সিং রাওয়াত, চন্ডী প্রসাদ ভট্ট প্রমুখ। পরবর্তীকালে সুন্দরলাল বহুগুণা তেহেরি গাড়ওয়াল অঞ্চলে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং মানুষকে অরণ্যানিবনের পুরন সম্পাতে সারমান করেন।

পাশ্চরাম হেগরে এই অঞ্চসেই নকরীদন আগতে চিনবো আংখ্যানকে জেরীতুত করেন। দেশের পার। এদের মলে দের ফিগারে চরী Awant জন্মালেও এই আপাদন প্রস্তুত সাড়া ফেলে। বাঁওতাল পরগনা, ছত্রিশগয়, বানে এমনকি মুমুর বক্তিণ কর্ণটিকের খানপানি গ্রামের এই আপোলন ছড়িে ওসমানী নাম স্বরাজা মন্ডল আন্দোলন (Dashall Gram Swarajga Mandat 6584) Movement) wire-নসিয়ে ও ফ্রিনিংসে ইংশা-চিনের দ্বন্দের অবসানের পর বারতীয় রাজ্য উষ্ণায়দেশে হিমালয়ের আটটি ভিন্ন জেলা বিশেষভাবে উন্নত হতে থাকে। এই। খুড়ি থেকে কাঠ উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী দেশের বিস্কিল থেকে কাঠ সংগ্রহ করতে থাকে যার ফলে ভূমিক্ষয়, তথা পরিনিতি বকুনির উৎপাদন হ্রাস প্রভৃতি পরিবেশজনিত দুর্যোগের যায়। কন্যা গদের প্রতি, সেতু বাড়তি নির্মাণ করার প্রয়োজন ছিল। রাতের আয়তন বৃন্দির জন্য প্রয়োজনীয় জিকা বা মূলধন জোগান দেয়, বিভিন্ন হয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি নিলাম, পারমিট খোঁচা হাড়তি সরকারি সুযোগ সবিধার মাধ্যমে গাছ কেটে ফেলত এবং তা রাজ্যের যরিতে চলে রেখো। ー এই অরুণা নিধনের ফলে 197৬ খ্রিস্টাব্দে প্রবল বন্যায় ১০৪) বর্গ কিমি অঞ্চল প্লাবিত হয় এবং ১০০ জন লোক প্রাণ হারায়।

1104 খ্রিস্টাব্দে নাপোলি গ্রাম স্বরাজ্য মঙ্গল নামে একটি বাগান স্থাপিত হয়। ধাদোনী গ্রাম স্বরাজা মণ্ডল বা DCSM इन একটি স্বয়েপ এজে দশ্যে প্রণো উত্তরপ্রদেশের এইসকল গাছের গুঁড়ি কাটা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করে। চন্ডী প্রসাদ ভট্ট এটি পরিচালনা করেন এবং এমেয়াদ সাংঘঠন রোশনারা নির আারা নিজেদের অয় সম্মোন করার। বাবাজির সরোদর পোপনের মান অনেক সংগঠন পরিচালিত হয়। এই সংঘঠন রেসিন ও তারপিন তেল উৎপাদন করত এবং ডার জন্য চামোলি জেলার অ্যাস (Acer sp) গাছ কাটতে হয়।

একবার স্বল্প পরিমাণ আসে গাছ কাটার জন্য বনদপ্তরের অনুমতি চাইলে বনদপ্তর তা না দিয়ে সিমন্স কোম্পানিকে ক্রীড়াসামন্ত্রী বানাবার জন্য প্রচুর শয়ে কাটার অনুমতি দেয়। এই স্বরাজা মণ্ডল চিপকো আন্দোলনের মাধ্যমে ওই কোম্পানিকে গাছ কাটতে বাধা দেয় এবং পরবর্তীকালে মাম্যহ দ্বারা অনুষ্ঠিত আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং আদিবাসীরা সক্রিয়ভাবে বৃক্ষচ্ছেদন বন্ধ করে। সিমন্স কোম্পানি পাঁচটি গাছ কেটে ফেললেও গ্রামবাসীদের নজরদারি থাকার ফলে সেই গাছগুলি নিয়ে যেতে পারেনি। 1964 খ্রিস্টাব্দে চন্ডী প্রসাদ ভট্ট-র নেতৃত্বে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। সুর্যপাত হয়্যার্থীর অহিংসবামী আদর্শে আদর্শিত ছিল। অনুতা দেবীর মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনার ফলে এই আন্দোলনের পাশাপাশি চিপকো সারপাত হয়।

■ নিশ্চুপ উপজ্যকা আন্দোলন বা সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন (Silent Valley Movement) :

ভারতবর্ষে কেরালার পাঞ্জাবাঃ জেলায় এই নিশ্চুপ উপত্যকা অবস্থিত। মাত্র ৫০ বর্গ কিমি ব্যাপী বিস্তৃত এই অন্যলে প্রায় 1100 প্রজাতির উদ্ভিদ আছে এবং এদের মধ্যে অনেক উদ্ভিদর অন্যত্র অবলুপ্ত হয়ে গেছে।

প্রাণীকূলের মধ্যে আছে সিংহপুচ্ছ কেশরী বানর, মেছোবিড়াল, মাউস ডিয়ার প্রভৃতি। এই ক্রান্তীয় অরণ্যটি জীববৈচিত্রোর আদর্শ উদাহরণ। পরিবেশবিদের নিশ্চুপ উপত্যকা আন্দোলন তখনই শুরু হয় যখন এই অঞ্চলে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়। বিভিন্ন NGO গোষ্ঠী এবং এখানকার প্রজাতিগুলিকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করেন এবং 1979 খ্রিস্টাব্দে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ বন্ধ হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রী রাজীধ গান্ধী 1985 খ্রিস্টাব্দে একে জাতীয় উদ্যানরূপে ঘোষণা করেন যা এখন Silent Valley National Park নামে পরিচিত। ওয়েস্টার্ন ঘাটের অন্তর্গত এই অরণ্যটি জীববৈচিত্র্যের সপ্তয়ক স্থানরূপে গণ্য করা হয় যেখানে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বিগত শতক ধরে বেঁচে আছে।

■ অমৃতা দেবী বিস্পনোই (জয়পুর) আন্দোলন (Amrita Devi Bishnol (Jaipur) Movement)

এক বিশেষ ঐতিহাসিক কারণে পরিবেশের উদ্ভিদ এবং বনজ সম্পদকে রক্ষা করার তাগিদে এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। 1731 খ্রিস্টাব্দে রাজস্থানের যোধপুরের রাজা তার মন্ত্রীদের গাছের কাঠ জমা করার নির্দেশ দেন। যার দ্বারা একটি নতুন রাজ্য তারা স্থাপন করতে পারে। রাজ্যের কর্মচারী এবং মন্ত্রীগণ গ্রামের নিকটবর্তী বনের গাছ কাটার উদ্দেশ্যে যায়, তখন বিশনোই জাতির গ্রামবাসীরা এই প্রকার গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এক বিশনোই মহিলা অমৃতা দেবী গাছকে জড়িয়ে ধরেন এবং রাজার কর্মচারীদের বলেন গাছ কাটার পূর্বে তাকে কাটতে হবে, তখন রাজার কর্মচারীরা এক নিষ্ঠুর অমানবিকতার পরিচয় দেন, তারা অমৃতা দেবী সহ গাছ কেটে ফেলেন। এরকমভাবে তারা অমৃতা দেবীর তিনটি কন্যা এবং শতাধিক বিশনোই গ্রামবাসীদের হত্যা করে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এই প্রকার মর্মান্তিক হত্যার চিত্র আমাদের সম্মুখে উপস্থাপিত হয়।

বর্তমানে ভারত সরকারের উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন গ্রামীণ মানুষজনকে অমৃতা দেবী বিশনোই ওয়াইল্ডলাইফ প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়।

Post Comment

You May Have Missed