প্রোক্যারিওট সদৃশ কয়েকটি অণুজীবের বৈশিষ্ট্য

 

■ প্রোক্যারিওট-সদৃশ কয়েকটি অণুজীবের বৈশিষ্ট্য:

 

ভাইরাস (Virus):

 

(i) ভাইরাস জীব ও জড়ের উভয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক প্রকারের বস্তু।

 

(ii) ভাইরাস অকোশীয়।

(iii) ভাইরাস দেহ নিউক্লিওপ্রোটিন দিয়ে গঠিত।

 

(iv) ভাইরাস একমাত্র পোষক কোশে প্রজননক্ষম।

 

(v) ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী।

 

(vi) ভাইরাস কেবল ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দৃশ্যমান।

 

(vii) ভাইরাস দেহে DNA অথবা RNA যে-কোনো একপ্রকার নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে। [বসন্ত ভাইরাস ও ফাজ ভাইরাস DNA যুক্ত; ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, টোব্যাকো মোজেইক ভাইরাস RNA যুক্ত।]

 

(viii) ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ফিলটারে পরিসূত হয়।

 

① রিকেটসিয়া (Ricketsia):

 

(i) এরা এক রকমের অতি সূক্ষ্ম ব্যাকটেরিয়াসদৃশ অণুজীব।

 

(ii) এরা পূর্ণ পরজীবী, এবং কেবল পোষককোশে বেঁচে থাকে।

 

(iii) এদের কোশের ব্যাস মাত্র 300 nm।

 

(iv) এদের কোশে কোশপ্রাচীর, কোশপর্দা, সাইটোপ্লাজম, রাইবোজোম এবং DNA থাকে।

 

(v) এদের কোশে ATP সংশ্লেষের প্রয়োজনীয় উৎসেচক পাওয়া যায়। 

 

(vi) কোশপ্রাচীরের উপাদান মিউকো- পলিস্যাকারাইড।

 

(vii) এরাও মানবদেহে সংক্রামক টাইফাস রোগ সৃষ্টি করে।

 

(viii) এরা দ্বিভাজন প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করে।

 

C. স্পাইরোকিটা (Spirochaeta):

 

(i) এরা এক রকমের দীর্ঘ সর্পিলাকার আণুবীক্ষণিক জীব।

 

(ii) এরা ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়া উভয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন।

 

(iii) এদের কোশে কোশপ্রাচীর থাকে না, কিন্তু কোশপর্দা থাকে।

 

(iv) কোশে নিউক্লিয়াস থাকে না, কিন্তু সাইটোপ্লাজমে DNA ও রাইবোজোম দানা উপস্থিত।

 

(v) এরা সাধারণ বিভাজন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে।

 

  1. vi) এরা মৃতজীবী, পরজীবী ও স্বাধীনজীবী।

 

vii) এরা মানবদেহে সিফিলিস রোগ সৃষ্টি করে।

Post Comment

You May Have Missed