জৈবিক অক্সিজেন চাহিদা কয়েকটি বৈশিষ্ট্য
জৈবনিক অক্সিজেন চাহিদার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:
জল দূষিত হলে দূষিত পদার্থকে বিয়োজিত করার জন্য অণুজীবদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। ② জল যত বেশি দূষিত হবে জলে অণুজীবদের সংখ্যা তত বেশি হবে। ③ অণুজীবদের সংখ্যা বেশি হলে বেশি পরিমাণ অক্সিজেনেরও দরকার হবে। অপরপক্ষে দূষিত জলে জীবাণুর সংখ্যা যত বাড়বে অক্সিজেনের পরিমাণ ততই কমবে। (গ) জল কতটা দূষিত হয়েছে তা জানবার জন্য বিজ্ঞানীরা ওই জলের BOD মেপে দেখেন। সুতরাং জলের উৎকর্ষ নির্ধারণে BOD-র ভূমিকা অনস্বীকার্য।
• রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (Chemical Oxygen Demand, COD):
চাষের জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশকযুক্ত বর্জ্য জল এবং বিভিন্ন কলকারখানা বা শিল্পে ব্যবহৃত বর্জিত জলের মধ্যস্থ রাসায়নিক যৌগগুলি কিন্তু সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। এগুলির ক্ষয়ের জন্য বিশেষ ধরনের জীবাণুর প্রয়োজন হয় এবং এক্ষেত্রে ক্ষয়ও ধীরে ধীরে হয়। সেই জন্য বিভিন্ন প্রকারের জৈব যৌগ বহু বছর অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়। এই সমস্ত জৈব যৌগগুলি স্থায়ী জৈব যৌগ এবং জীবের পক্ষে ক্ষতিকর। এই সমস্ত জৈব যৌগগুলির মধ্যে কয়েকটি হল-ক্লোরিন যুক্ত যৌগ, ফেনল, অ্যারোম্যাটিক যৌগ, ফেনল থেকে উৎপন্ন যৌগ, কিছু সাবান জাতীয় পদার্থ, কীটনাশক পদার্থ ইত্যাদি। সহজে জৈবক্ষয়িষু নয় এই জাতীয় রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করার জন্য জলে উপস্থিত প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের পরিমাণকে ওই জলের রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা বা কেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বা সংক্ষপে COD বলে।
► সংজ্ঞা (Definition) :
জলে উপস্থিত জৈবক্ষয়িষ্ণু নয়। এইরূপ বিভিন্ন প্রকার দ্রাব্য ও অদ্রাব্য রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করতে যে য পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, প্রতি লিটার জলে তত মিলিগ্রাম অক্সিজেনকে ওই জলের অক্সিজেন চাহিদা বা COD বলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, পানীয় জলের COD-র পরিমাণ হওয়া উচিত 10 mg/lit-এর কম।
দ্রবীভূত অক্সিজেন জলজ প্রাণীদের শ্বাসক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। আসলে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনই জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের উৎস। কিছু পরিমাণ অক্সিজেন বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ থেকে উৎপন্ন হয়ে জলে মেশে। এই জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ মাপা হয় DO মিটার বা Dissolved Oxygen মিটারের সাহায্যে বা উইঙ্কলার পদ্ধতির সাহায্যে।
Post Comment