শ্রীকৃয়কীর্তন কাব্যের রাধা-বিরহ অংশটি প্রক্ষিপ্ত কিনা। আলোচনা করো। 

সূচনাঃ মধ্যযুগের প্রথম পর্বের নিদর্শন বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। তেরোটি খন্ডে বিভক্ত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথিটির কাহিনী বিভাগকে কবি খন্ড বলে চিহ্নিত করেছেন। এ বিষয় সংস্কৃত পুরাণগুলি কবির আদর্শ বলে মনে হয়। খন্ডিত এই পুঁথিটির সর্বশেষ অধ্যায় হল ‘রাধা-বিরহ’ অংশ। কিন্তু এর সাথে খন্ড শব্দটি যুক্ত নেই। এ কারণে অনেকের মতে, ‘রাধা-বিরহ’ অধ্যায়টি বড়ু চন্ডীদাসের রচনা নয়, এটি…

চর্যাপদের আবিষ্কার ও প্রকাশকাল বিবৃত করো। চর্যায় সমাজচিত্রের পরিচয় দাও। 

 পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী 1907 সালে নেপালের রাজ- সবার থেকে চর্যাগীতির পুঁথি আবিষ্কার করেন।   1916 সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা এষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামে সংগৃহীত পুমিগুলি কিাশ লাভ করে।   সাহিত্য মূল্য: চর্যাপদ রচয়িতারা তাঁদের নিজেদের রচনাকে গূঢ়ার্থ রচনা বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু যতই গূঢ়ার্থ পূর্ণ হোক তাঁরা তার…

টীকা লেখ চৈতন্যচরিতামৃত

চৈতন্যচরিতামৃত : ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ বাংলা ভাষায় লেখা কৃষ্ণদাস কবিরাজের তৃতীয় ও শেষ গ্রন্থ। ১৫৯২ খ্রিস্টাব্দের পরে রচনা আরম্ভ হয়। ‘অতিবৃদ্ধ জরাতুর’ অবস্থায় গুরুর নির্দেশে লেখেন। বর্ধমান জেলার কাটোয়ার নিকটে ঝামটপুর গ্রামে কবির জন্ম। গ্রন্থটি চৈতন্য জীবনীমূলক গ্রন্থ। তিনটি বিভাগে (আদি-মধ্য-অন্ত্য) আর বাষট্টি অধ্যায়ে বিভক্ত। তিনটি লীলার প্রত্যেকটি লীলার কয়েকটি পরিচ্ছেদ আছে। অদিলীলায় বৈষ্ণবীয় দর্শন, চৈতন্যাবতারের প্রয়োজনীয়তা,…

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য রচনায় বড়ু চণ্ডীদাসের কৃতিত্ব আলোচনা করো।’

প্রাক্-চৈতন্যযুগের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য কৃষ্ণলীলা বিষয়ক কাব্য বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’। ভাবত প্রভৃতি পুরাণের কৃষ্ণলীলা বিষয়ক কাহিনিকে সামান্য অনুসরণ করে। জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দম’- এর বিশেষ প্রভাব শিরোধার্য করে এবং জনসাধারণের মধ্যে প্রচলিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক অমার্জিত গ্রাম্য গালগল্পের ওপর ভিত্তি করে বড়ু চণ্ডীদাস ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য রচনা করেন। এতে মোট তেরোটি খন্ড বা অধ্যায় আছে। ‘জন্মখণ্ড’ থেকে শুরু করে ‘রাধাবিরহ’…

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও কবির কৃতিত্ব আলোচনা করো। 

  উ: বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য আবিষ্কারের পর সাহিত্য জগতে এক প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। এটি রাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক পুরাতন ধরনের আখ্যান কাব্য।   আবিষ্কার ও প্রকাশ:    শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আবিষ্কার, করেন পন্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্ধবাত মহাশয়। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (২-১৯০৯) বন-বিষ্ণুপুরের কাছে। কাছে কাঁকিল্যা গ্রামের জনৈক দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ে বাড়িতে এক গোয়াল ঘরে মাচা থেকে সঞ্চিত অনেক…

টীকা লেখো: চৈতন্য ভগবত 

উত্তর: (১) চৈতন্য ভগবত : বাংলায় চৈতন্যদেবের সুমহান চরিত্র অবলম্বনে চরিতকাব্য রচনার সূত্রপাত করেন যিনি তাঁর নাম বৃন্দাবন দাস। বৈষ্ণব ভক্ত সমাজে তিনি ব্যাসদেবের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তাঁর জীবনকাহিনী আজও আমরা জানি না। চৈতন্য ভাগবত বাংলা ভাষায় চৈতন্য জীবনীর প্রথম গ্রন্থ অর্থাৎ প্রথম চৈতন্য জীবনীমূলক কাব্য। ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ পায়, আদি-মধ্য-অন্ত তিন অধ্যায়ে। শ্রীচৈতন্যদেবের প্রিয়…

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটির আবিষ্কার, নামকরণ উল্লেখ করে ascশব্যটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও কবির কৃতিত্ব আলোচনা করো। 

    শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কারঃ    বাংলা সাহিত্যের গবেষক বসন্তরঞ্জণ রায় মহাশয় ১৯০৯ খ্রিঃ বা ১৩১৬ বঙ্গাব্দে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকট কাঁকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে খন্ডিত কৃষ্ণলীলা- বিষয়ক একখানি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ খ্রিঃ বা ১০২৩ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে এই খন্ডিত পুথিখানি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে প্রকাশ করেন। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাবাটি রচনা…

চর্যাপদের আবিষ্কার ও ও প্রকাশকাল বিবৃত করো। চর্যায় সমাজচিত্রের পরিচয় দাও। 

চর্যাপদের আবিষ্কার ও প্রকাশকালঃ    বাংলা-সাহিত্যের প্রাচীনতা চর্যাপদ। চর্যাপদের আবিষ্কার কাহিনী বেশ কৌতূহলজনক। মহামহোপাধ্যায় পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় ১৯০৭ খ্রিঃ নেপালের রাজদরবারের পুঁথিশালা থেকে তালপাতায় লেখা চর্যাপদের কয়েকখানি ছিন্ন পুঁথি আবিষ্কার করেন। এবং নিজ সম্পাদনায় ১৯১৬ খ্রিঃ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘হাজার বছরের পুরানো বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা নামে গ্রন্থটি প্রকাশ করেন।  …

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রাধা-বিরহ অংশটি প্রক্ষিপ্ত কিনা যুক্তিসহ আলোচনা করো। 

সূচনাঃ মধ্যযুগের প্রথম পর্বের নিদর্শন বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। তেরোটি খন্ডে বিভক্ত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথিটির কাহিনী বিভাগকে কবি খন্ড বলে চিহ্নিত করেছেন। এ বিষয় সংস্কৃত পুরাণগুলি কবির আদর্শ বলে মনে হয়। খন্ডিত এই পুঁথিটির সর্বশেষ অধ্যায় হল ‘রাধা-বিরহ’ অংশ। কিন্তু এর সাথে খন্ড শব্দটি যুক্ত নেই। এ কারণে অনেকের মতে, ‘রাধা-বিরহ’ অধ্যায়টি বড়ু চন্ডীদাসের রচনা নয়, এটি…

টীকা লেখো: গোবিন্দ দাস

টীকা লেখো: গোবিন্দ দাস উত্তর : (গাবিন্দ দাস কবিরাজ চৈতন্যোত্তর যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পদকর্তা। আনুমানিক ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার শ্রীখণ্ড গ্রামে মাতুলালয়ে গোবিন্দদাসের জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম চিরঞ্জীব। মাতার নাম সুনন্দা ও মাতামহ বিখ্যাত সঙ্গীতগ্রন্থ ‘সঙ্গীত দামোদর’ রচয়িতা দামোদর সেন। শোনা যায়, প্রথম যৌবনে গোবিন্দ দাস শাক্ত মতাবলম্বী ছিলেন, পরে শ্রীনিবাস আচার্যের নিকট দীক্ষা…