কলেজের বাংলা ১ স্ট এর সমস্ত এমসিকিউ (MCQ) এর প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আলোচনাঃ
-
Contents
- 0.1 পাল ও সেন রাজত্বকালে বাঙালি চিন্তানায়করা কি কি বিষয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন?
- 0.2 প্রাচীন কালের সংস্কৃত গ্রন্থকারদের নাম বলো।
- 0.3 সপ্তম শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের ব্যাপক বিস্তার হয়েছিল, এই বিষয় আমরা কার কার বিবরণ থেকে পাই?
- 0.4 প্রাচীনকালের দুজন বাঙালি কবির নাম বলো।
- 0.5 ‘দায়ভাগ’ গ্রন্থ কি বিষয়ের উপর লেখা?
- 0.6 রাজা বল্লাল সেনের পাঁচখানি গ্রন্থের নাম কি?
- 0.7 পালিভাষায় লেখা একটি গ্রন্থের নাম লেখো।
- 0.8 প্রাকৃত পৈঙ্গল কার লেখা? কোন বিষয়ের ওপর লেখা?
- 1 ‘মেখলা’-সংস্কৃত টীকা কার লেখা?
- 1.1 চর্যাপদ কোন্ ভাষায় লেখা?
- 1.1.1 ‘বেণী সংহার’ কার লেখা?
- 1.1.1.1 সংস্কৃত ভাষায় প্রথম সংকলিত কোষকাব্য কি? লেখক কে?
- 1.1.1.2 সংস্কৃত ভাষায় প্রাচীনতম শিলালিপি কোথায় পাওয়া গিয়েছে? কোন অক্ষরে লেখা?
- 1.1.1.3 সন্ধ্যাকর নন্দী ছাড়া ‘রামচরিত মানস’ লিখেছেন এমন একজনের নাম লেখো।
- 1.1.1.4
- 1.1.1.5 চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন? প্রকাশের সময় গ্রন্থের নাম কি দেন?
- 1.1.1.6
- 1.1.1.7 কতসালে পুঁথি আবিষ্কার করেন? কত সালে প্রকাশ করা হয়?
- 1.1.2 চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ের কটি পদ পাওয়া গিয়েছে?
- 1.1.3
- 1.1.4 বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে চর্যাপদের নাম কি হওয়া উচিত?
- 1.1.5
- 1.1.5.1
- 1.1.5.2 চর্যার পদ কোন্ ভাষায় লেখা?
- 1.1.5.3 চর্যাগীতির ভাষা হিন্দী- কে বলেছেন?
- 1.1.5.4 মুনিদত্তের টীকার নাম কি?
- 1.1.5.5 চর্যার সংস্কৃত টীকাকার কে?
- 1.1.5.6 চর্যাপদের মোট কয়টি পদের সন্ধান পাওয়া যায়?
- 1.1.5.7 চর্যাপদের কতজন পদকর্তা আছেন?
- 1.1.5.8 চর্যাপদের ভাষাকে সন্ধ্যাভাষা বলা হয় কেন?
- 1.1.5.9 চর্যাপদের ভাষা বাংলা- একথা কে বলেছিলেন?
- 1.1.5.10 চর্যা কী ধরনের সাহিত্য?
- 1.1.5.11 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে?
- 1.1.5.12 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য কে কোথা থেকে আবিষ্কার করেন?
- 1.1.5.13
- 1.1.5.14 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের পুঁথির মধ্যে তুলোট কাগজে লেখা যে চিরকূট পাওয়া গিয়েছিল, তাতে কী নাম লেখা ছিল?
- 1.1.5.15 বড়ু চণ্ডীদাস ভণিতায় নিজেকে কোন্ দেবীর পূজারী বলে পরিচয় দিয়েছেন?
- 1.1.5.16 কটি খণ্ডে বিন্যস্ত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য?
- 1.1.5.17 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ গ্রন্থটি কী ধরনের কাব্য?
- 1.1.5.18 ভাব, ভাষা ও বিষয়বস্তুর দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কোন সাহিত্যের পূর্বসূরী বলা যায়?
- 1.1.5.19 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রাধাকৃষ্ণের কোন্ বিষয় নিয়ে লেখা কাব্য?
- 1.1.6 শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে বড়াই কি জাতীয় চরিত্র?
- 1.1.7 সমালোচকেরা ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-কে কোন্ নাট্যরীতির নিদর্শন বলেন?
- 1.1.1 ‘বেণী সংহার’ কার লেখা?
- 1.2 • ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মোট কটি চরিত্র?
- 1.2.0.1 • আখ্যান কাব্য হিসাবে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এর গুরুত্ব কি?
- 1.2.0.2 • ভাগবত কোন পুরাণের অন্তর্গত?
- 1.2.0.2.1 • ভাগবতের কোন কোন স্কন্দ নিয়ে গঠিত ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’?
- 1.2.0.2.2 • মালাধর বসুর উপাধি কি? কে দেন?
- 1.2.0.2.3 • মালাধর বসুর মাতা-পিতার নাম কি?
- 1.2.0.2.4 • মালাধর বসু ভাগবতের অনুবাদের মাধ্যমে কোন মতকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন?
- 1.2.0.2.5 • পুরাণ ও উপ-পুরাণের সংখ্যা কত?
- 1.2.0.2.6 • ভাগবতে কটি স্কন্দ বা পর্ব, অধ্যায় এবং কটি শ্লোক আছে?
- 1.2.0.2.7 • মালাধর বসুর জন্মস্থান লেখো।
- 1.2.0.2.8 • শ্রীকৃষ্ণবিজয়-এ কৃষ্ণের কোন রূপ পাওয়া যায়?
- 1.2.0.2.9 • শ্রীকৃষ্ণবিজয় কয় ভাগে বিভক্ত? কি কি?
- 1.2.0.2.10 • “শ্রীকৃষ্ণ বিজয়”-এ কোন রস প্রাধান্য পেয়েছে?
- 1.2.0.2.11 • ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’-এর বিজয় কথার অর্থ কি?
- 1.2.0.2.12 • শ্রীচৈতন্য ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ পছন্দ করতেন কেন?
- 1.2.0.2.13 • শ্রীকৃষ্ণবিজয় কোন্ সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা?
- 1.2.0.2.14 ‘ভারতীয় সাহিত্যের আদি কবির নাম কী? তিনি কোন্ ভাষায় কাব্য লিখেছেন? সেই কাব্যের নাম বলো।
- 1.2.0.3 • ভারতীয় দুটি মহাকাব্যের কোল্টিন্ট প্রথম রচনা?
- 1.2.0.3.1 • রামায়ণ মহাকাব্য কত কাণ্ডে বিভক্ত ও কি কি?
- 1.2.0.3.2 • রামায়ণে কয়টি কাহিনী আছে ও কি কি?
- 1.2.0.3.3 • প্রাদেশিক ভাষায় লেখা রামায়ণ ও রচনাকারের নাম লেখো।
- 1.2.0.3.4 • আজ পর্যন্ত কতগুলি ভাষায় রামায়ণ অনূদিত হয়েছে?
- 1.2.0.3.5 • কৃত্তিবাসের রামায়ণের নাম কী?
- 1.2.0.3.6 উত্তর: কৃত্তিবাসের রামায়ণের নাম ‘শ্রীরাম পাঁচালী’।
- 1.2.0.3.7 • কৃত্তিবাস কোন্ শতাব্দীর মানুষ?
- 1.2.0.3.8 • কৃত্তিবাসী রামায়ণ কে কত খ্রীষ্টাব্দে মুদ্রিত করেন?
- 1.2.0.4 • ‘শ্রীরাম পাঁচালি’ কোন্ ছন্দে লিখিত?
- 1.2.0.4.1 • কবি কৃত্তিবাস তাঁর রামায়ণে কী নূতনত্ব এনেছিলেন?
- 1.2.0.4.2 • জাতীয় জীবনের মহাক্যব্য মহাভারত কার লেখা?
- 1.2.0.4.3 • মহাভারতকে কততম বেদ বলা হয়?
- 1.2.0.4.4 • মহাভারতের মূল কাহিনী কি?
- 1.2.0.4.5 • কাশীরাম ছাড়া আরও দুজন মহাভারত অনুবাদকের নাম বলো।
- 1.2.0.4.6 • ‘পরাগলী মহাভারত’ নাম হওয়ার কারণ কি?
- 1.2.0.4.7 • পরাগলী মহাভারতের আসল নাম কি?
- 1.2.0.4.8 • শ্রীকর নন্দী মহাভারতের কোন অংশ অনুবাদ করেন?
- 1.2.0.4.9 • শ্রীকর নন্দী কার অনুরোধে মহাভারত অনুবাদ করেন?
- 1.2.0.4.10 • কাশীরাম দাসের জন্মস্থান কোথায়?
- 1.2.0.4.11 • কাশীরাম দাসের গুরুর নাম কি?
- 1.2.0.4.12 • কাশীরামের উপাধি কি ছিল?
- 1.2.0.4.13 • কাশীরামের পরিবার কোন্ ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন?
- 1.2.0.4.14 • কাশীরামের কাব্য রচনা শুরু কোন্ শতাব্দীতে?
- 1.2.0.4.15 • ‘পদাবলী’ শব্দটি প্রথম কোথায় পাওয়া যায়?
- 1.2.0.4.16 • পদাবলীর অর্থ কী?
- 1.2.0.4.17 • বিদ্যাপতির জন্মস্থানের নাম করো।
- 1.2.0.4.18 • বিদ্যাপতির জন্ম-মৃত্যু সময় বলো।
- 1.2.0.4.19 • বিদ্যাপতি কোন ভাষার কবি?
- 1.2.0.4.20 • বিদ্যাপতি পদ্মসিংহ ও বিশ্বাসদেবীর নির্দেশে কি গ্রন্থ লেখেন?
- 1.2.0.4.21 • ‘বিভাগসার’ ও ‘দানবাক্যাবলী’ কি ধরনের গ্রন্থ?
- 1.2.0.4.22 • কীর্তিসিংহকে নিয়ে লেখা গ্রন্থটির নাম লেখো?
- 1.2.0.4.23 • দেবী সিংহের সঙ্গে নৈমিষারণ্যে ভ্রমণকালে বিদ্যাপতি কোন্ গ্রন্থ লিখেছিলেন?
- 1.2.0.4.24 • বিদ্যাপতির আখ্যায়িকামূলক গ্রন্থ দুটি কি কি?
- 1.2.0.4.25 • কার আশ্রয়ে বিদ্যাপতি ‘লিখনাবলী’ লেখেন?
- 1.2.0.4.26 • বিদ্যাপতিকে কোন কোন অভিধায় ভূষিত করা হয়?
- 1.2.0.4.27 • রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলীর জন্য বিদ্যাপতিকে কী উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
- 1.2.0.4.28 • বিদ্যাপতির হরগৌরী বিষয়ক পদ কটি পাওয়া গিয়েছে?
- 1.2.0.4.29 • কবি বিদ্যাপতি কোন ধর্মের উপাসক ছিলেন?
- 1.2.0.4.30 • পঞ্চোপাসক কি?
- 1.2.0.4.31 • ব্রজবুলি ভাষার উৎপত্তি কিভাবে?
- 1.2.0.4.32 • বিদ্যাপতি নিজের নাম ছাড়া কতকগুলি অভিধা ব্যবহার করতেন?
- 1.2.0.4.33 • বিদ্যাপতি কোন রাজার সভাকবি ছিলেন?
- 1.2.0.4.34 • চণ্ডীদাসের জন্মস্থানের নাম করো।
- 1.2.0.4.35 • চণ্ডীদাস কার উপাসক ছিলেন?
- 1.2.0.4.36 • ‘চণ্ডীদাস দুঃখের কবি’ কার উক্তি?
- 1.2.0.4.37 • চণ্ডীদাসের রাধার মূর্তি কীরূপ?
- 1.2.0.4.38 • চণ্ডীদাস সমস্যা কী?
- 1.2.0.4.39 • পদ রচনার ক্ষেত্রে কোন্ পর্যায়-এ তিনি উল্লেখযোগ্য প্রতিভা দেখিয়েছেন?
- 1.2.0.4.40 • জ্ঞানদাসের জন্মস্থান বলো।
- 1.2.0.4.41 • কত খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানদাসের জন্ম?
- 1.2.0.4.42 • কবি কার কাছে দীক্ষিত হন?
- 1.2.0.4.43 • জ্ঞানদাস কার ভাবশিষ্য ছিলেন?
- 1.2.0.5 • জ্ঞানদাস কোন্ কোন্ ভাষায় পদ রচনা করেছেন?
- 1.2.0.5.1 • জ্ঞানদাসের ভণিতায় কত পদ পাওয়া গিয়েছে?
- 1.2.0.5.2 • জ্ঞানদাসের ভণিতায় কুড়িটি পদ কোন্ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে?
- 1.2.0.5.3 • ব্রজবুলি পদে জ্ঞানদাস কাকে অনুসরণ করেছেন?
- 1.2.0.5.4 • জ্ঞানদাসের একটি বিখ্যাত পদের একটি চরণ লেখো।
- 1.2.0.5.5 • জ্ঞানদাসের রাধা কেমন?
- 1.2.0.5.6 • কোন্ শ্রেণির পদ রচনায় জ্ঞানদাস শ্রেষ্ঠ?
- 1.2.0.5.7 • গোবিন্দ দাসের জন্ম ও মৃত্যুসাল বলো।
- 1.2.0.5.8 • গোবিন্দ দাসের জন্মস্থান কোথায়?
- 1.2.0.5.9 • কবির বাবা-মা-এর পরিচয় দাও।
- 1.2.0.5.10 • গোবিন্দ দাস কোন্ পদকর্তাকে অনুসরণ করেছেন?
- 1.2.0.5.11 • প্রথম জীবনে কার অনুপ্রেরণায় কবি শাক্ত ধর্ম গ্রহণ করেন?
- 1.2.0.5.12 • পরবর্তীকালে কার কাছে বৈষ্ণব ধর্ম নেন?
- 1.2.0.5.13 • কবি সংস্কৃতে কোন্ নাটক লেখেন?
- 1.2.0.5.14 • কে উদ্যোগী হয়ে বৃহৎ সংকলন প্রকাশ করেন?
- 1.2.0.5.15 • গোবিন্দ দাসের কি উপাধি প্রচলিত?
- 1.2.0.5.16 • কোন্ পর্যায়ের পদ রচনায় গোবিন্দ দাস কৃতিত্ব দেখিয়েছেন?
- 1.2.0.5.17 • ‘সঙ্গীতমাধব’ পড়ে বৈষ্ণব গোস্বামীরা গোবিন্দদাস-কে কী উপাধি দেন?
- 1.2.0.5.18 • শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবস কখন?
- 1.2.0.6 • শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের সময় বাঙলার মসনদে কে আসীন?
- 1.2.0.7 • বৃন্দাবন দাসের নিবাস কোথায়?
- 1.2.0.7.1 • বৃন্দাবন দাসের গ্রন্থের নাম কী?
- 1.2.0.7.2 • বৃন্দাবনের গোস্বামীরা চৈতন্যমঙ্গল-এর নাম কী দিয়েছিলেন?
- 1.2.0.7.3 • মঙ্গলকাব্য কী?
- 1.2.0.7.4 • মঙ্গলকাব্যের বিষয় কী?
- 1.2.0.7.5 • মঙ্গলকাব্যের দেবদেবী কারা?
- 1.2.0.7.6 • মনসামঙ্গল কাব্যের অপর একটি নাম বলো।
- 1.2.0.7.7 • মনসামঙ্গল ছাড়া আর কোন্ কাব্যে সর্প-দেবীর কথা আছে?
- 1.2.0.7.8 • মনসাদেবীর কথা আমরা কোথায় কোথায় পাই?
- 1.2.0.7.9 • মনসামঙ্গল কাব্যে কয়টি ধারা দেখতে পাই, সেগুলির নাম বলো।
- 1.2.0.7.10 • রাঢ়ীয় ধারার কয়েকজন কবির নাম বলো।
- 1.2.0.7.11 • পূর্ববঙ্গীয় ধারার কয়েকজন কবির নাম বলো।
- 1.2.0.7.12 • উত্তরবঙ্গ ও কামরূপ ধারার কয়েকজন কবির নাম বলো।
- 1.2.0.7.13 • মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা, লখীন্দরের স্বর্গে বাসকালীন নাম কী ছিল?
- 1.2.0.7.14 • ‘চণ্ডী’-র উৎপত্তি কোথা হতে?
- 1.2.0.7.15 • ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্য আরও কি কি নামে পরিচিত?
- 1.2.0.7.16 • ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের কটি খণ্ড?
- 1.2.0.7.17 • ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের ধর্মঠাকুরের আকৃতি কীরূপ?,
- 1.2.0.7.18 • ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের ধর্মঠাকুর সম্বন্ধে ব্যাখ্যা কে করেন?
- 1.2.0.7.19 • ধর্মঠাকুর-এর মূল গল্প কী?
- 1.2.0.8 • ধর্মমঙ্গল কাব্যে কটি ভাগ?
- 1.2.0.9 • মনসার পরিচয় দাও।
- 1.2.0.10 • মনসা নামের উৎপত্তি বলো।
- 1.2.0.11 • মনসামঙ্গলের আদি কবি কে?
- 1.2.0.12 • পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথায় মনসামন্দির আছে?
- 1.2.0.13 • মনসামঙ্গল কাব্যের চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরীর নাম কী ছিল?
- 1.2.1 • বিজয় গুপ্তের আবির্ভাবকাল বলো।
- 1.2.1.1 • কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যের নাম কী?
- 1.2.1.2 • মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবদেবীর নাম বলো।
- 1.2.1.3 • দ্বিজবংশী দাসের কাব্যের নাম কী?
- 1.2.1.4 • মনসামঙ্গল কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কে?
- 1.2.1.5 • বিজয় গুপ্তের উপাস্য দেবতা কে?
- 1.2.1.6 • বিজয় গুপ্তের ছদ্মনাম কী?
- 1.2.1.7 • বিজয় গুপ্তের পদ্মপুরাণ কে প্রথম প্রকাশ করেন?
- 1.2.1.8 • বিজয় গুপ্তের পরিচয় দাও।
- 1.2.1.9 • নারায়ণ দেবের কাব্যের নাম কী?
- 1.2.1.10 • কোন মঙ্গলকাব্যে ‘ধনা’ নামের চরিত্র আছে?
- 1.2.1.11 • উত্তরবঙ্গের কোন্ মনসা পাঁচালী কাব্যের কবির উপাধি ছিল কবিভূষণ?
- 1.2.1.12 • রানী ভবানী কোন্ কাব্যে আছে?
- 1.2.1.13 • কেতকাদাসের কাব্যে মনসা দেবী কোন্ রূপে দেখা দিয়েছিলেন?
- 1.2.1.14 • কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যের নাম কী??
- 1.2.1.15 • কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের পরিচয় দাও।
- 1.2.1.16 • কয়েকজন মঙ্গল কবির নাম বলো।
- 1.2.1.17 • বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্যের রচনাকালজ্ঞাপক শ্লোক লেখো।
- 1.2.1.18 • ‘মনসা বিজয়’ কার রচনা? কতগুলি পালা আছে?
- 1.2.1.19 • ‘মনসা বিজয়’ কাব্যটির সম্পাদকের নাম কী?। কোন্ সময়ে এটি সম্পাদিত হয়?
- 1.2.1.20 • মনসামঙ্গলের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম বলো।
- 1.2.1.21 • সর্পদেবীর প্রাধান্য আছে এমন দুটি গ্রন্থের নাম বলো।
- 1.2.1.22 • উত্তরবঙ্গ ও আসামের মঙ্গলকাব্যের কবির নাম লেখো।
- 1.2.1.23 • মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা ও লখীন্দরের পরিচয় কী?
- 1.2.1.24 • কোন্ মনসামঙ্গল কাব্যে মনসা ধর্মপূজা করেছে?
- 1.2.1.25 • দ্বিজ বালেশ্বর কোন্ কাব্যগ্রন্থের কবি?
- 1.2.1.26 • ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
- 1.2.1.27 • ধর্মমঙ্গলে কোন্ দেবতার মহিমা দেখানো হয়েছে?
- 1.2.1.28 • ধর্মঠাকুরের কোনো নির্দিষ্ট রূপাবয়ব আছে কি?
- 1.2.1.29 • ‘শূন্যপুরাণের’ লেখকের নাম কী?
- 1.2.1.30 • ধর্মঠাকুরকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ দেবতা কে বলেছেন?
- 1.2.1.31 • ধর্মঠাকুরকে কারা পুজো করেন?
- 1.2.1.32 • ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের দুটি চরিত্রের নাম বলো।
- 1.2.1.33 • হরিশচন্দ্র, রোহিতাশ্বের কাহিনী কোন্ কাব্যের অন্তর্গত?
- 1.2.1.34 • ধর্মপুজো প্রবর্তন কাহিনীর দুটি ভাগের নাম বলো।
- 1.2.1.35 • ধর্মমঙ্গল কাব্যের কটি পালা?
- 1.2.1.36 • ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কা?
- 1.2.2 • প্রথম ছাপানো ধর্মমঙ্গল কার?
- 1.2.3 • ধর্ম দেবতার অপর নাম কী?
- 1.2.3.1 • ধর্মমঙ্গলের আদি কবি কে?
- 1.2.3.2 • ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কে রাঢ়ের জাতীয় কাব্য বলেছেন?
- 1.2.3.3 • খেলারাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কী?
- 1.2.3.4 • সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর দুজন করে ধর্মমঙ্গল রচয়িতার নাম বলো।
- 1.2.3.5 • ‘নিরঞ্জনমঙ্গল’ কাব্যের কবি কে?
- 1.2.3.6 • রামদাস আদকের কাব্যের নাম কি?
- 1.2.3.7 • সহদেব চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কি?
- 1.2.3.8 • জালালি কালিমা কোন্ দেবতার নামে প্রাসঙ্গিক?
- 1.2.3.9 • রূপরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কী?
- 1.2.3.10 • ঘনরাম চক্রবর্তী কার কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন?
- 1.2.3.11 • চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে?
- 1.2.3.12 শ্রীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
- 1.2.3.13 • কবিকঙ্কনের জন্মভিটা কোথায়?
- 1.2.3.14 • দ্বিজমাধবের কাব্যের নাম লেখো।
- 1.2.3.15 • ‘মঙ্গল চণ্ডীর গীত’ কাব্যের রচনাকারের নাম বলো।
- 1.2.3.16 • কবিকঙ্কন কাব্য লেখার জন্য কোন্ রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন?
- 1.2.3.17 • কবিকঙ্কনের চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের নাম কী ছিল?
- 1.2.3.18 • ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি কবি কার নিকট হতে পেয়েছিলেন?
- 1.2.3.19 • কবিকঙ্কনের চণ্ডীমঙ্গল আরও কোন্ কোন্ নামে পরিচিত?
- 1.2.3.20 • চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের দুটি চরিত্র ও বণিক খণ্ডের দুটি চরিত্রের নাম বলো।
- 1.2.3.21 • চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে যে স্বর্গবাসী চরিত্র অভিশপ্ত হয়ে মর্ত্যে আসে সেই চরিত্রগুলির নাম বলো।
- 1.2.3.22 • মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলের রচনাকাল বলো।
- 1.2.3.23 • চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের দুজন ঐতিহাসিক ব্যক্তির নাম বলো।
- 1.2.3.24 • চৈতন্যযুগের একজন কবির নাম বলো।
- 1.2.3.25 • দ্বিজমাধবের কাব্যটি চট্টগ্রামে কী নামে অভিহিত?
- 1.2.3.26 • মুকুন্দ চক্রবর্তীর বাবা, মা-এর নাম কী?
- 1.2.3.27 • মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের ঈর্ষাপরায়ণ শঠ ব্যক্তি কে?
- 1.2.3.28 • সপ্তদশ শতাব্দীর কয়েকজন মঙ্গলকবির নাম বলো।
- 1.2.3.29 • কবি ভারতচন্দ্র কোন্ যুগের কবি?
- 1.2.3.30 • কবি ভারতচন্দ্রের প্রতি বাংলার কোন্ কবি বিশেষ অনুরাগী ছিলেন?
- 1.2.3.31 • ভারতচন্দ্রের জন্মকাল কবে?
- 1.2.3.32 • ভারতচন্দ্রের বাবার নাম কী?
- 1.2.3.33 • ভারতচন্দ্রের কোন্ কাব্যের জন্য কে তাঁকে উপাধি দেন?
- 1.2.3.34 • ভারতচন্দ্রের অপর আরো কয়েকটি সাহিত্যের নাম বলো।
- 1.2.3.35 • ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য কটি কাব্যের যোগে হয়েছে?
- 1.2.3.36 • ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের প্রথম অংশে তিনটি উপকাহিনী কী কী?
- 1.2.3.37 • ‘রাজকণ্ঠের মণিমালার মতো, যেমন তাহার উজ্জ্বলতা তেমনই তাহার কারুকার্য কার উক্তি?
- 1.2.3.38 • বিদ্যাসুন্দর কাব্যের বিষয় কী?
- 1.2.3.39 • ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে দেবদেবী ও মনুষ্য চরিত্রগুলি বলো।
- 1.2.3.40 • ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের মানসিংহ খণ্ডের ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম বলো।
- 1.2.3.41 • ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের কোন্ খণ্ডকে অতিরঞ্জিত বলা হয়?
- 1.2.3.42 • ভারতচন্দ্র কোন্ কোন্ ভাষা রপ্ত করেছিলেন?
- 1.2.3.43 • ইউসুফ-জোলেখা কী ধরনের কাব্য?
- 1.2.3.44 • কাব্যটি কে রচনা করেছেন?
- 1.2.3.45 • এই কাব্যের ভাষা কে কোন্ কাব্যের পরের ভাষা বলেছেন?
- 1.2.3.46 • জোলেখা কার কন্যা ছিল?
- 1.2.3.47 • স্বপ্নে জোলেখা কাকে দেখেন?
- 1.2.3.48 • জোলেখার প্রিয়তম কে?
- 1.2.3.49 • দৌলত কাজী কোন্ রাজসভার কবি?
- 1.2.3.50 • দৌলত কাজী কোন্ ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন?
- 1.2.3.51 • কবির জন্মস্থান কোথায়?
- 1.2.3.52 • কোন্ ব্যক্তিত্বের অনুকূলে কবি দৌলত কাব্য লেখেন?
- 1.2.3.53 • দৌলত কাজীর লেখা কাব্যের নাম কী?
- 1.2.3.54 • দৌলত কাজীর অকাল প্রয়াণের পর কার নির্দেশে কে কাব্যটি শেষ করেন?
- 1.2.3.55 • অপর কোন্ কোন্ কাব্যে দৌলত কাজীর কাব্য কাহিনী মেলে?
- 1.2.3.55.1 • আলাওল কোন্ রাজসভার কবি?
- 1.2.3.55.2 • আলাওলের জন্ম কখন কোথায়?
- 1.2.3.55.3 • কবির পিতা কোন্ রাজার মন্ত্রী ছিলেন?
- 1.2.3.55.4 • ‘হপ্তপয়কর’ কত খ্রিস্টাব্দে লেখা?
- 1.2.3.55.5 • তোহফা কী ধরনের কাব্য?
- 1.2.3.55.6 • ‘পদ্মাবতী’ কত খ্রিস্টাব্দে রচিত হয়?
- 1.2.3.55.7 • ‘পদ্মাবতী’ কোন্ কাব্যের অনুবাদ?
- 1.2.3.55.8 • ‘পদ্মাবতী’ কিপ্রকার কাব্য?
- 1.2.3.55.9 • কবি আলাওল কতগুলি ভাষায় পারঙ্গম ছিলেন?
- 1.2.3.55.10 • কার নির্দেশে আলাওল কাব্য লেখেন?
- 1.2.3.55.11 • জায়সীর পদুমাবৎ কোন্ রাজার সময়ে লেখা?
- 1.2.3.55.12 • ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের নায়িকা কে?
- 1.2.3.55.13 • ‘সয়ফুলমূলক বদিউজ্জমাল’ কত সালে লেখা এবং কীরূপ কাব্য?
- 1.2.3.55.14 • বৈষ্ণব সাহিত্য যেমন রাধাকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তেমনি শাক্তসাহিত্য কোন্ দেবতাকে কেন্দ্র করে লিখিত?
- 1.2.3.56 • শাক্ত পদাবলীর আর এক নাম কী?
- 1.2.3.56.1 • অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাঙলার সুবাদার কে ছিলেন?
- 1.2.3.56.2 • মুর্শিদকুলি খাঁর পরে বাঙলার কর্তা কে ছিলেন?
- 1.2.3.56.3 • বাঙলাদেশে শক্তি পুজোর প্রচলন কখন হয়?
- 1.2.3.56.4 • শাক্ত কবিরা কীপ্রকার সাধনা করতেন?
- 1.2.3.56.5 • মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন্ প্রকার সাহিত্য প্রচলিত ছিল?
- 1.2.3.56.6 • আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের উদাহরণ দাও।
- 1.2.3.56.7 • অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙলাদেশের গৃহধর্মের বাস্তব দিকটি কোন্ গানে প্রকাশ
- 1.2.3.56.8 পেয়েছে?
- 1.2.3.56.9 • শাক্ত পদাবলীর মাধ্যমে প্রকাশিত শক্তি সাধনার দুটি বিশেষ রূপ-এর নাম কী?
- 1.2.3.56.10 • সাধককবি রামপ্রসাদ সেনের জন্ম ও মৃত্যুসাল বলো।
- 1.2.3.56.11 • কবি রামপ্রসাদ সাহিত্য ছাড়া আর কী কাজ করতেন?
- 1.2.3.56.12 • কবি রামপ্রসাদ কার পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন?
- 1.2.3.57 • কবি কোন্ উপাধি পান কী রচনার জন্য?
- 1.2.3.57.1 • কবি রামপ্রসাদের সুরের নাম কী?
- 1.2.3.57.2 • রামপ্রসাদের মৃত্যু কোথায় হয়?
- 1.2.3.57.3 • রামপ্রসাদের কাব্যের নাম বলো।
- 1.2.3.57.4 • সাধক কমলাকান্তের ‘ভট্টাচার্য’ উপাধি প্রচলিত হলেও প্রকৃত উপাধি কী? উত্তর: কমলাকান্তের ‘ভট্টাচার্য’ উপাধি প্রচলিত হলেও প্রকৃত উপাধি ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’।
- 1.2.3.57.5 • তাঁর লেখা অন্ত্রবিষয়ক গ্রন্থের নাম লেখো।
- 1.2.3.57.6 • কবি কমলাকান্তের জন্মস্থান কোথায়?
- 1.2.3.57.7 • কবি কার সভাপণ্ডিত ছিলেন?
- 1.2.3.57.8 • কমলাকান্তের কতগুলি গান আছে?
- 1.2.3.57.9 • কবি কমলাকান্তের পদসংগ্রহ কোথায় পাওয়া গিয়েছে?
- 1.2.3.58 • কবির সাধনপীঠ কোথায় ছিল?
- 1.1 চর্যাপদ কোন্ ভাষায় লেখা?
কোন্ ভাষার খোলস ছেড়ে বাংলা ভাষার জন্ম?
উত্তর: খ্রিষ্টীয় দশম শতাব্দীর মধ্যে মাগধী প্রাকৃত অপভ্রংশ থেকে বাংলার জন্ম হয়।
-
আজ পর্যন্ত প্রাচীনতম বাংলা গ্রন্থের নিদর্শন কি?
উত্তর: প্রাচীনতম বাংলাগ্রন্থের নিদর্শন চর্যাগীতি পদাবলী বা চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামে একটি বৌদ্ধ সংকলন।
-
পাল ও সেন রাজত্বকালে বাঙালি চিন্তানায়করা কি কি বিষয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন?
উত্তর: কাব্যসাহিত্য, ধর্মশাস্ত্র, দর্শন, ব্যাকরণ, অলংকার, জ্যোতিষবিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র ও সামাজিক বিষয়ে সৃষ্টিপ্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
-
প্রাচীন কালের সংস্কৃত গ্রন্থকারদের নাম বলো।
উত্তর: সংস্কৃত গ্রন্থকারদের মধ্যে গৌড়, অভিনন্দ, সন্ধ্যাকর নন্দী, ক্ষেমীশ্বর, নীতিবর্মা, শ্রীহর্ষ, শ্রীধরভট্ট, জীমূতবাহন, হলায়ুধ, সর্বানন্দ, উমাপতি ধর, শরণ, গোবর্ধন আচার্য, ধোয়ী, গীতগোবিন্দের রচয়িতা জয়দেবের নাম উল্লেখযোগ্য।
-
সপ্তম শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের ব্যাপক বিস্তার হয়েছিল, এই বিষয় আমরা কার কার বিবরণ থেকে পাই?
উত্তর: ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাঙ-এর বিবরণ থেকে পাই।
-
প্রাচীনকালের দুজন বাঙালি কবির নাম বলো।
উত্তর: গৌড় অভিনন্দ, অভিনন্দ।
-
‘দায়ভাগ’ গ্রন্থ কি বিষয়ের উপর লেখা?
উত্তর: সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত গ্রন্থ।
-
রাজা বল্লাল সেনের পাঁচখানি গ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসগর, দানসাগর, অদ্ভুতসাগর।
-
পালিভাষায় লেখা একটি গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: বৌদ্ধদের গ্রন্থ ত্রিপিটক পালিভাষার লেখা।
-
প্রাকৃত পৈঙ্গল কার লেখা? কোন বিষয়ের ওপর লেখা?
উত্তর: পিঙ্গলাচার্যের ছন্দ বিষয়ক গ্রন্থ প্রাকৃত পৈঙ্গল।
-
‘মেখলা’-সংস্কৃত টীকা কার লেখা?
উত্তর: আচার্য পাদের লেখা ‘মেখলা’।
-
চর্যাপদ কোন্ ভাষায় লেখা?
উত্তরঃ চর্যাপদে আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষা বা প্রাচীন বাংলাভাষার নিদর্শন পাই।
-
‘বেণী সংহার’ কার লেখা?
উত্তর: নারায়ণ ভট্টের সংস্কৃত ভাষায় লেখা।
-
সংস্কৃত ভাষায় প্রথম সংকলিত কোষকাব্য কি? লেখক কে?
উত্তর: ‘সুভাষিত রত্নকোষ’ গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় প্রথম সংকলিত কোষকাব্য।
-
সংস্কৃত ভাষায় প্রাচীনতম শিলালিপি কোথায় পাওয়া গিয়েছে? কোন অক্ষরে লেখা?
উত্তর: বগুড়া জেলার মহাস্থান গড়ে ব্রাহ্মী অক্ষরে লেখা শিলালিপি পাওয়া যায়।
-
সন্ধ্যাকর নন্দী ছাড়া ‘রামচরিত মানস’ লিখেছেন এমন একজনের নাম লেখো।
উত্তর: অভিনন্দ।
-
চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন? প্রকাশের সময় গ্রন্থের নাম কি দেন?
উত্তর: মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কার করেন ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’। প্রকাশের সময় নাম দিয়েছেন চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। নেপালে যখন এই পুঁথি রক্ষিত ছিল তার প্রথম পত্রের সামনের পৃষ্ঠায় নাগরী হরফে লেখা ছিল ‘চর্যাচর্য্যটীকা’।
-
কতসালে পুঁথি আবিষ্কার করেন? কত সালে প্রকাশ করা হয়?
উত্তর: ১৯০৭ সালে অনেকগুলি পুঁথির সঙ্গে ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ পুঁথি আবিষ্কার করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশ করেন, নাম দেন- ‘হাজার বছরের পুরনো বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোঁহা’।
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ের কটি পদ পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গিয়েছে।
-
মুনিদত্তের পুঁথির নাম কি?
উত্তর: মুনিদত্তের পুঁথির নাম ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তিনাম’।
-
বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে চর্যাপদের নাম কি হওয়া উচিত?
উত্তর: বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে পুথিটির নাম ‘আশ্চর্যচর্যাচর্য’ হওয়া সঠিক।
-
চর্যার পদ কোন্ ভাষায় লেখা?
উত্তর: চর্যার ভাষা প্রাচীন বাংলা। চর্যার ভাষাকে সন্ধ্যাভাষা বলে।
-
চর্যাগীতির ভাষা হিন্দী- কে বলেছেন?
উত্তর: রাংল সাংকৃত্যায়ন ও ডঃ কালীপ্রসাদ জয়সোয়াল চর্যার ভাষাকে হিন্দী ভাষা বলে দাবি করেন।
-
মুনিদত্তের টীকার নাম কি?
উত্তর: নির্মরগিরা টীকা।
-
চর্যার সংস্কৃত টীকাকার কে?
উত্তর: মুনিদত্ত চর্যার সংস্কৃত টীকাকার।
-
চর্যাপদের মোট কয়টি পদের সন্ধান পাওয়া যায়?
উত্তর: ৫০টি পদের সন্ধান পেলেও খণ্ডিত। মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ এখন পাওয়া যায়।
- ত্রিনাড়ী তত্ত্বের তিনটি নাড়ী কি কি?
উত্তর: ঈড়া, পিঙ্গলা ও সুষুম্না।
-
চর্যাপদের কতজন পদকর্তা আছেন?
উত্তর: ২৪ জন পদকর্তার নাম জানা যায়।
-
চর্যাপদের ভাষাকে সন্ধ্যাভাষা বলা হয় কেন?
উত্তর: চর্যাপদের ভাষা রহস্যজনক। কিছুটা বোঝা যায়, কিছুটা বোঝা যায় না, তাই ‘সন্ধ্যা ভাষা। সম্ ধা ধাতু থেকে সন্ধ্যা এসেছে।
-
চর্যাপদের ভাষা বাংলা- একথা কে বলেছিলেন?
উত্তর: Origin and Development of Bengali Language গ্রন্থে ড. সুনীতি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন বাংলা।
-
চর্যা কী ধরনের সাহিত্য?
উত্তর: চর্যা ধর্মকেন্দ্রিক সাহিত্য।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘শ্রীষ্ণকীর্তন কাব্য রচনা করেন বড়ু চণ্ডীদাস।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য কে কোথা থেকে আবিষ্কার করেন?
উত্তর: ১৩১৬ বঙ্গাব্দে শ্রীযুক্ত বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা
গ্রামে শ্রীনিবাস আচার্য মহাপ্রভুর দৌহিত্র বংশধর দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচায় একরাশ পুঁথির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন পুঁথিটি আস্কিার করেন। গ্রন্থটির বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের পুঁথির মধ্যে তুলোট কাগজে লেখা যে চিরকূট পাওয়া গিয়েছিল, তাতে কী নাম লেখা ছিল?
উত্তর: চিরকুটে কাব্যটির নাম লেখা ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’।
-
বড়ু চণ্ডীদাস ভণিতায় নিজেকে কোন্ দেবীর পূজারী বলে পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর: বাসুলী দেবীর পূজারী বলে পরিচয় দিয়েছেন।
-
বড়ু চণ্ডীদাসের বাড়ি কোথায়?
উত্তর: বাঁকুড়া জেলার ছাতনা গ্রামে বড়ু চণ্ডীদাসের জন্ম।
কটি খণ্ডে বিন্যস্ত শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য?
উত্তর: মোট তেরটি খণ্ডে বিন্যস্ত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের শেষ অংশের নাম কি?
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের শেষ অংশের নাম ‘রাধাবিরহ’।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ গ্রন্থটি কী ধরনের কাব্য?
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য আখ্যানধর্মী নাট্য।
-
ভাব, ভাষা ও বিষয়বস্তুর দিক থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কোন সাহিত্যের পূর্বসূরী বলা যায়?
উত্তর: ভাব-ভাষা-বিষয়বস্তুর দিক থেকে বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের পূর্বসূরী শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রাধাকৃষ্ণের কোন্ বিষয় নিয়ে লেখা কাব্য?
উত্তর: রাধাকৃষ্ণের প্রণয় ব্যাপার নিয়ে লেখা মধ্যযুগের কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের গঠনশৈলী কিরূপ?
উত্তর: রাধা-কৃষ্ণ-বড়াই-এর উক্তি-প্রত্যুক্তির বা পারস্পরিক সংলাপ বিনিময়ের মধ্যে এক নাট্যধর্মের ব্যঞ্জনা মেলে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এ।
-
শ্রীচৈতন্যদেব কেন এই কাব্য পছন্দ করতেন না?
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে আদিরসের প্রাবল্য ও দেহের বর্ণনা থাকার জন্য শ্রীচৈতন্য পছন্দ করতেন না।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে বড়াই কি জাতীয় চরিত্র?
উত্তর: কুটুনি জাতীয় চরিত্র বড়াই।
-
সমালোচকেরা ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-কে কোন্ নাট্যরীতির নিদর্শন বলেন?
উত্তর: অনেক সমালোচক ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-কে ঝুমুর জাতীয় লৌকিক নাট্যরীতির প্রাচীন নিদর্শন বলে থাকেন।
‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য কোন্ কোন্ উপাদান দিয়ে গঠিত?
- উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য পৌরাণিক ও লৌকিক উপাদান দিয়ে গঠিত।
• ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মোট কটি চরিত্র?
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের তিনটি চরিত্র- রাধা, কৃষ্ণ ও বড়াই।
• ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য আদি-মধ্যযুগের নিদর্শন কে বলেন?
উত্তর: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য আদি-মধ্যযুগের নিদর্শন বলেছেন সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ODBL গ্রন্থে।
• আখ্যান কাব্য হিসাবে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এর গুরুত্ব কি?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আখ্যানকাব্য, তবে নাট্যলক্ষণ ও গীতিকাব্যের লক্ষণও আছে। কবি আড়ালে থেকে পাত্র-পাত্রীর সংলাপের মধ্যে দিয়ে সংগতি রক্ষা করেছেন। এটি গীতি সংলাপমূলক আখ্যান কাব্য।
• ভাগবত কোন পুরাণের অন্তর্গত?
উত্তর: ভাগবত সাত্ত্বিক পুরাণের অন্তর্গত।
• ভাগবতের কোন কোন স্কন্দ নিয়ে গঠিত ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’?
উত্তর: ভাগবতের দশম ও একাদশ স্কন্দের ভাবানুবাদ করে ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ সৃষ্টি হয়।
• মালাধর বসুর উপাধি কি? কে দেন?
উত্তর: গৌড়েশ্বর ‘গুণরাজ খান’ উপাধি দিয়েছিলেন মালাধর বসুকে।
• মালাধর বসুর মাতা-পিতার নাম কি?
উত্তর: মাতা ইন্দুমতি ও পিতা ভগীরথ।
• মালাধর বসু ভাগবতের অনুবাদের মাধ্যমে কোন মতকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন?
উত্তর: কবি মালাধর বসু ভাগবত অনুবাদ করে বঙ্গদেশে প্রথম বৈষ্ণব ধর্মমতের সূচনা করেন।
• পুরাণ ও উপ-পুরাণের সংখ্যা কত?
উত্তর: প্রধান পুরাণ ১৮টি আর উপ-পুরাণ ৩৬টি।
• ভাগবতে কটি স্কন্দ বা পর্ব, অধ্যায় এবং কটি শ্লোক আছে?
উত্তর: ভাগবতে দ্বাদশ স্কন্দ যা পর্ব, ৩৩২ টি অধ্যায় ও ১৮০০০ শ্লোক আছে।
• মালাধর বসুর জন্মস্থান লেখো।
উত্তর: হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনের চৌগ্রাম স্টেশনের চার কিলোমিটার দূরে কুলীন গ্রামে কায়স্থ পরিবারে জন্ম নেন।
উত্তর: মালাধর ভাগবতে• ভাগবতের অনুবাদ করে মালাধর বসু কি নাম দিয়েছিলেন?-র সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করে “শ্রীকৃষ্ণবিজয়” বা “শ্রীকৃষ্ণমঙ্গল”নাম দিয়েছিলেন। কোথাও কোথাও “গোবিন্দ বিজয়”, “গোবিন্দ মঙ্গল”, “কৃষ্ণের বিজয়”
নামেও পরিচিত।
• শ্রীকৃষ্ণবিজয়-এ কৃষ্ণের কোন রূপ পাওয়া যায়?
উত্তর: শ্রীকৃষ্ণবিজয়-এ কৃষ্ণের ঐশ্বর্য রূপ আমরা দেখতে পাই।
• শ্রীকৃষ্ণবিজয় কয় ভাগে বিভক্ত? কি কি?
উত্তর: তিন ভাগে বিভক্ত- বৃন্দাবন লীলা, মথুরালীলা, দ্বারকা লীলা।
• “শ্রীকৃষ্ণ বিজয়”-এ কোন রস প্রাধান্য পেয়েছে?
উত্তর: “শ্রীকৃষ্ণ বিজয়”-এ বীর রস প্রাধান্য পেয়েছে।
• ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’-এর বিজয় কথার অর্থ কি?
উত্তর: ‘বিজয়’ কথার অর্থ গৌরব কাহিনী বা ‘শোভাযাত্রা’ বা ‘মঙ্গল’ কথা।
• শ্রীচৈতন্য ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ পছন্দ করতেন কেন?
উত্তর: মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বর্য রূপ অর্থাৎ বীরত্বকে দেখে আপ্লুত হতেন।
• শ্রীকৃষ্ণবিজয় কোন্ সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা?
উত্তর: তুর্কি আক্রমণোত্তর বঙ্গসমাজকে প্রেক্ষাপট করেছেন।
‘ভারতীয় সাহিত্যের আদি কবির নাম কী? তিনি কোন্ ভাষায় কাব্য লিখেছেন? সেই কাব্যের নাম বলো।
উত্তর: সমগ্র ভারতীয় সাহিত্যের আদি কবি বাল্মীকি। তিনি সংস্কৃত ভাষায় মহাকাব্য
লিখেছেন। সেই কাব্যের নাম রামায়ণ মহাক্যব্য।
• ভারতীয় দুটি মহাকাব্যের কোল্টিন্ট প্রথম রচনা?
উত্তর: দুটি মহাকাব্যের প্রথম রচনা রামায়ণ।
• রামায়ণ মহাকাব্য কত কাণ্ডে বিভক্ত ও কি কি?
উত্তর: সাতটি কাণ্ডে বিভক্ত। বালকাণ্ড, অযোধ্যা, অরণ্য, কিষ্কিন্ধ্যা, সুন্দর, লঙ্কাকাণ্ড। মোট চব্বিশ হাজার শ্লোকে বিন্যস্ত।
• রামায়ণে কয়টি কাহিনী আছে ও কি কি?
উত্তর: রামায়ণে তিনটি কাহিনী আছে। অযোধ্যার কাহিণী, কিষ্কিন্ধ্যার কাহিনী, লঙ্কার কাহিনী।
• প্রাদেশিক ভাষায় লেখা রামায়ণ ও রচনাকারের নাম লেখো।
উত্তর: প্রাদেশিক ভাষায় অনেকেই রামায়ণ রচনা করেছেন। তামিল ভাষায় একাদশ শতাব্দীতে রামায়ণ অনুবাদ করেন কম্বন, শ্রীধর মারাঠী ভাষায়, কবি কৃত্তিবাস বাংলায়, তুলসীদাস হিন্দী ভাষায় ‘রামচরিত মানস’ রচনা করেন।
• আজ পর্যন্ত কতগুলি ভাষায় রামায়ণ অনূদিত হয়েছে?
উত্তর: প্রাক্-আধুনিক যুগে মারাঠী ভাষায় আটটি, তেলেগু ভাষায় পাঁচটি, তামিল ভাষায় বারোটি, ওড়িয়া ভাষায় ছয়টি, হিন্দী ভাষায় এগারোটি, বাংলা ভাষায় পঁচিশটি রামায়ণ অনুদিত হয়েছে। শুধু ভারতে নয়, ব্রহ্মাদেশ, শ্যামকম্বোজ, ভিয়েতনাম, মালয়, ইন্দোনেশিয়াতেও রামায়ণ রচিত হয়।
• কৃত্তিবাসের রামায়ণের নাম কী?
উত্তর: কৃত্তিবাসের রামায়ণের নাম ‘শ্রীরাম পাঁচালী’।
• কৃত্তিবাস কোন্ শতাব্দীর মানুষ?
উত্তর: কৃত্তিবাস চতুর্দশ শতাব্দীর শেষে জন্ম নেন।
• কৃত্তিবাসী রামায়ণ কে কত খ্রীষ্টাব্দে মুদ্রিত করেন?
উত্তর: শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়ম কেরীর উদ্যোগে ১৮০২-১৮০৩ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে কয়েক খণ্ড মুদ্রিত হয়।
• ‘শ্রীরাম পাঁচালি’ কোন্ ছন্দে লিখিত?
উত্তর: ‘শ্রীরাম পাঁচালি’ পয়ার ত্রিপদী ছন্দে লিখিত।
• কবি কৃত্তিবাস তাঁর রামায়ণে কী নূতনত্ব এনেছিলেন?
উত্তর: দস্যু রত্নাকর বিষয়টি অধ্যাত্ম রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ড থেকে গ্রহণ করে নূতনত্ব এনেছিলেন।
• জাতীয় জীবনের মহাক্যব্য মহাভারত কার লেখা?
উত্তর: মহাকবি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস সংস্কৃত মহাভারতের রচয়িতা।
• মহাভারতকে কততম বেদ বলা হয়?
উত্তর: মহাভারতকে পঞ্চম বেদ বলা হয়।
• মহাভারতের মূল কাহিনী কি?
উত্তর: কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধ মহাভারতের মূল কাহিনী।
• কাশীরাম ছাড়া আরও দুজন মহাভারত অনুবাদকের নাম বলো।
উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী মহাভারত অনুবাদ করেছিলেন।
• ‘পরাগলী মহাভারত’ নাম হওয়ার কারণ কি?
উত্তর: পরাগল খাঁ-র নির্দেশে মহাভারত পাঁচালী কবীন্দ্র পরমেশ্বর লিখেছিলেন বলে এরূপ নাম।
• পরাগলী মহাভারতের আসল নাম কি?
উত্তর: পরাগলী মহাভারতের আসল নাম ‘পাণ্ডব বিজয়’।’
• শ্রীকর নন্দী মহাভারতের কোন অংশ অনুবাদ করেন?
উত্তর: শ্রীকর নন্দী জৈমিনি মহাভারতের অশ্বমেধ পর্বের বাংলা অনুবাদ করেন।
• শ্রীকর নন্দী কার অনুরোধে মহাভারত অনুবাদ করেন?
উত্তর: পরাগল খাঁর ছেলে ছুটি খাঁ-এর অনুরোধে মহাভারত অনুবাদ করেন।
• কাশীরাম দাসের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: বর্ধমান জেলার ইন্দ্রানী পরগনার সিঙ্গি গ্রামে জন্ম।
• কাশীরাম দাসের গুরুর নাম কি?
উত্তর: কাশীরাম দাসের গুরুর নাম অভিরাম মুখুটি।
• কাশীরামের উপাধি কি ছিল?
উত্তর: কাশীরামের উপাধি ছিল দেব।
• কাশীরামের পরিবার কোন্ ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন?
উত্তর: কাশীরামের পরিবার বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন।
• কাশীরামের কাব্য রচনা শুরু কোন্ শতাব্দীতে?
উত্তর: কাশীরামের মহাভারত ষোড়শ শতকের শেষের দিকে রচনা শুরু হয়।
• ‘পদাবলী’ শব্দটি প্রথম কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ‘পদাবলী’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন আচার্য দন্ডী। কবি জয়দেব তাঁর ‘গীত
গোবিন্দ’ কাব্যকে মধুর কোমল কান্ত পদাবলীম বলেছেন।
• পদাবলীর অর্থ কী?
উত্তর: পদসম্পদ অর্থে পদাবলী শব্দ ব্যবহৃত হয়।
• বিদ্যাপতির জন্মস্থানের নাম করো।
উত্তর: মিথিলার মধুবনী পরগনার অন্তর্গত বিসফি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
• বিদ্যাপতির জন্ম-মৃত্যু সময় বলো।
উত্তর: বিদ্যাপতি ১৩৮০ খ্রিষ্টাব্দে বা এর সামান্য কিছু পূর্বে জন্ম গ্রহণ করেন এবং
পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ বা দ্বিতীয়ার্ধের কিছুকাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।
• বিদ্যাপতি কোন ভাষার কবি?
উত্তর: বিদ্যাপতি মৈথিলি ভাষার কবি।
• বিদ্যাপতি পদ্মসিংহ ও বিশ্বাসদেবীর নির্দেশে কি গ্রন্থ লেখেন?
উত্তর: পদ্মসিংহ ও বিশ্বাসদেবীর নির্দেশে ‘শৈবসর্বস্বসার’ ও ‘গঙ্গা বাক্যাবলী’ রচনা করেন।
• ‘বিভাগসার’ ও ‘দানবাক্যাবলী’ কি ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর: গ্রন্থ দুটি দায়ভাগ জাতীয় গ্রন্থ যা ব্যবহারশাস্ত্রে পরিণত চিন্তার পরিচয় দেয়।
• কীর্তিসিংহকে নিয়ে লেখা গ্রন্থটির নাম লেখো?
উত্তর: কীর্তিসিংহের বীরকীর্তি নিয়ে লেখা অবহট্ট ভাষায় ‘কীর্তিলতা’ বিদ্যাপতির বিখ্যাত গ্রন্থ।
• দেবী সিংহের সঙ্গে নৈমিষারণ্যে ভ্রমণকালে বিদ্যাপতি কোন্ গ্রন্থ লিখেছিলেন?
উত্তর: তীর্থ বর্ণনা করে লেখেন ভূ-পরিক্রমা।
• বিদ্যাপতির আখ্যায়িকামূলক গ্রন্থ দুটি কি কি?
উত্তর: ‘পুরুষ পরীক্ষা’ ও ‘কীর্তিপতাকা’ আখ্যায়িকামূলক গ্রন্থ।
• কার আশ্রয়ে বিদ্যাপতি ‘লিখনাবলী’ লেখেন?
উত্তর: পুরাদিত্যের আশ্রয়ে লেখেন।
• বিদ্যাপতিকে কোন কোন অভিধায় ভূষিত করা হয়?
উত্তর: ‘অভিনব জয়দেব’, ‘মৈথিল কোকিল’ বলা হয়।
• রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলীর জন্য বিদ্যাপতিকে কী উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
উত্তর: রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলীর জন্য ‘কবিকুল চন্দ’ উপাধি দেওয়া হয়।
• বিদ্যাপতির হরগৌরী বিষয়ক পদ কটি পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: ৬০টি হরগৌরী বিষয়ক পদ পাওয়া গিয়েছে।
• ‘কীর্তিলতা’ কাব্যে কবি নিজেকে কী বলে আখ্যায়িত করেছেন? উত্তর: ‘কীর্তিলতা’ কাব্যে কবি নিজেকে ‘খেলন কবি’ অর্থাৎ কিশোর কবি বলেছেন।
• কবি বিদ্যাপতি কোন ধর্মের উপাসক ছিলেন?
উত্তর: বিদ্যাপতি বংশের অন্যান্যরা শৈব ছিলেন। বিদ্যাপতি পঞ্চোপাসক ছিলেন।
• পঞ্চোপাসক কি?
উত্তর: শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর ও গাণপত্য।
• ব্রজবুলি ভাষার উৎপত্তি কিভাবে?
উত্তর: মৈথিলি ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে কৃত্রিম ও মিশ্র ব্রজবুলি ভাষার উৎপত্তি।
• বিদ্যাপতি নিজের নাম ছাড়া কতকগুলি অভিধা ব্যবহার করতেন?
উত্তর: কবিকণ্ঠহার, সরস কবিকণ্ঠহার, নবজয়দেব ও অভিনব জয়দেব ব্যবহার
করতেন।
• বিদ্যাপতি কোন রাজার সভাকবি ছিলেন?
উত্তর: মিথিলার রাজসভার কবি ছিলেন বিদ্যাপতি।
• চণ্ডীদাসের জন্মস্থানের নাম করো।
উত্তর: বীরভূম জেলার নানুর গ্রামে জন্ম চণ্ডীদাসের।
• চণ্ডীদাস কার উপাসক ছিলেন?
উত্তর: চণ্ডীদাস বাশুলী দেবীর উপাসক ছিলেন; পরবর্তীকালে সহজমার্গের সাধনায় ব্রতী হন।
• ‘চণ্ডীদাস দুঃখের কবি’ কার উক্তি?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের উক্তি।
• চণ্ডীদাসের রাধার মূর্তি কীরূপ?
উত্তর: চণ্ডীদাসের রাধার মূর্তির তপস্বিনী।
• চণ্ডীদাস সমস্যা কী?
উত্তর: বৈষ্ণব সাহিত্যে চণ্ডীদাস একজন উল্লেখযোগ্য পদকর্তা। ১৩২৩ সালে বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য প্রকাশের পর চণ্ডীদাস সমস্যা প্রকট হয়। ঐতিহাসিকরা চার জন চণ্ডীদাসের সন্ধান দিয়েছেন। চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস, দীন চণ্ডীদাস, বড়ু চণ্ডীদাস এমনকি অনেকজন নকল চণ্ডীদাসের নামও শোনা গিয়েছে। ফলে শুরু হয় চণ্ডীদাস সমস্যা।
• পদ রচনার ক্ষেত্রে কোন্ পর্যায়-এ তিনি উল্লেখযোগ্য প্রতিভা দেখিয়েছেন?
উত্তর: চণ্ডীদাস পূর্বরাগ, প্রেমবৈচিত্তা, আক্ষেপানুরাগের পদে শ্রেষ্ঠ।
• জ্ঞানদাসের জন্মস্থান বলো।
উত্তর: বর্ধমান জেলার কাটোযার নিকট কাঁদড়া গ্রামের এক ব্রাহ্মহ্মণ পরিবারে জন্ম।
• কত খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানদাসের জন্ম?
উত্তর: আনুমানিক ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানদাসের জন্ম।
• কবি কার কাছে দীক্ষিত হন?
উত্তর: কবি জ্ঞানদাস নিত্যানন্দের পত্নী জাহ্নবী দেবীর কাছে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন।
• জ্ঞানদাস কার ভাবশিষ্য ছিলেন?
উত্তর: জ্ঞানদাস চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য ছিলেন।
• জ্ঞানদাস কোন্ কোন্ ভাষায় পদ রচনা করেছেন?
উত্তর: বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায় পদ লিখেছেন।
• জ্ঞানদাসের ভণিতায় কত পদ পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: ভণিতায় চারশত পদ পাওয়া গিয়েছে।
• জ্ঞানদাসের ভণিতায় কুড়িটি পদ কোন্ গ্রন্থে স্থান পেয়েছে?
উত্তর: শ্রী সুকুমার ভট্টাচার্য ১৩৪৭ সালে ‘যশোদার বাৎসল্য লীলা’ নামে একটি পুঁথি আবিষ্কার করেন, সেই গ্রন্থে জ্ঞানদাসের ভণিতায় কুড়িটি পদ স্থান পেয়েছে।
• ব্রজবুলি পদে জ্ঞানদাস কাকে অনুসরণ করেছেন?
উত্তর: ব্রজবুলি পদে কবি বিদ্যাপতিকে অনুসরণ করেছেন।
• জ্ঞানদাসের একটি বিখ্যাত পদের একটি চরণ লেখো।
উত্তর: ‘রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুনে মন ভোর। প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।’
• জ্ঞানদাসের রাধা কেমন?
উত্তর: জ্ঞানদাসের রাধা কৃষ্ণরূপমুগ্ধ হয়ে একান্ত ভাবতন্ময়।
• কোন্ শ্রেণির পদ রচনায় জ্ঞানদাস শ্রেষ্ঠ?
উত্তর: রূপানুরাগ ও অনুরাগ পদ রচনায় জ্ঞানদাস শ্রেষ্ঠ।
• গোবিন্দ দাসের জন্ম ও মৃত্যুসাল বলো।
উত্তর: ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে জন্ম ও ১৬১৬ খ্রিস্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন।
• গোবিন্দ দাসের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: কাটোয়ার শ্রীখণ্ডে জন্মান গোবিন্দ দাস; আদিনিবাস কুমার নগরে।
• কবির বাবা-মা-এর পরিচয় দাও।
উত্তর: কবির বাবার নাম চিরঞ্জীব সেন ও মা সুনন্দা দেবী। ছেলের নাম দিব্য সিংহ, পৌত্র ঘনশ্যাম দাস।
• গোবিন্দ দাস কোন্ পদকর্তাকে অনুসরণ করেছেন?
উত্তর: বিদ্যাপতিকে গোবিন্দ দাস অনুসরণ করেছেন।
• প্রথম জীবনে কার অনুপ্রেরণায় কবি শাক্ত ধর্ম গ্রহণ করেন?
উত্তর: মাতামহের অনুপ্রেরণায় কবি শাক্ত ধর্মে দীক্ষিত হন।
• পরবর্তীকালে কার কাছে বৈষ্ণব ধর্ম নেন?
উত্তর: শ্রীনিবাস আচার্যের কাছে গোবিন্দ দাস বৈষ্ণব ধর্ম নেন।
• কবি সংস্কৃতে কোন্ নাটক লেখেন?
উত্তর: ‘সঙ্গীত মাধব’ নামে একটি নাটক লেখেন।
• কে উদ্যোগী হয়ে বৃহৎ সংকলন প্রকাশ করেন?
উত্তর: ডা. বিমান বিহারী মজুমদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রকাশ করেন।
• গোবিন্দ দাসের কি উপাধি প্রচলিত?
উত্তর: দ্বিতীয় বিদ্যাপতি তাঁর উপাধি।
• কোন্ পর্যায়ের পদ রচনায় গোবিন্দ দাস কৃতিত্ব দেখিয়েছেন?
উত্তর: অভিসার এবং গৌরচন্দ্রিকা’র পদ লিখে গোবিন্দ দাস শ্রেষ্ঠ।
• ‘সঙ্গীতমাধব’ পড়ে বৈষ্ণব গোস্বামীরা গোবিন্দদাস-কে কী উপাধি দেন?
উত্তর: সঙ্গীতমাধব পড়ে বৈষ্ণব গোস্বামীরা গোবিন্দদাস-কে ‘কবিরাজ’ উপাধি দিয়েছিলেন।
• শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব দিবস কখন?
উত্তর: পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে।
• শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের সময় বাঙলার মসনদে কে আসীন?
উত্তর: সুলতান হুসেন শাহ (১৪৯৩-১৫১৯)।
• শ্রী চৈতন্যের পূর্বপুরুষের নিবাস কোথায়?
উত্তর: শ্রী চৈতন্যের পূর্বপুরুষের নিবাস ছিল শ্রীহট্টে।
• বৈষ্ণব বিরোধীরা কোন্ কাজীর কাছে শ্রীচৈতন্যের নামে অভিযোগ করেন?
উত্তর: নদীয়ার কাজী মৌলানা সিরাজুদ্দিনের কাছে অভিযোগ করেন।
• শ্রী চৈতন্য কার কাছে সন্ন্যাস নেন?
উত্তর: কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস নেন।
• চৈতন্য ধর্মে ষড়গোস্বামীদের নাম বলো।
উত্তর: সনাতন গোস্বামী, রূপ গোস্বামী, জীব গোস্বামী, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ দাস, রঘুনাথ ভট্ট।
• বৃন্দাবন দাসের নিবাস কোথায়?
উত্তর: বৃন্দাবন দাসের জন্ম বর্ধমান জেলার দেনুড় গ্রামে।
• বৃন্দাবন দাসের গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: বৃন্দাবন দাসের গ্রন্থের নাম ‘চৈতন্যমঙ্গল’।
• বৃন্দাবনের গোস্বামীরা চৈতন্যমঙ্গল-এর নাম কী দিয়েছিলেন?
উত্তর: ভাগবতের অনুসরণে লেখা বলে এই গ্রন্থটির নাম দিয়েছেন ‘চৈতন্যভাগবত’।
• মঙ্গলকাব্য কী?
উত্তর: যে কাব্য পাঠ করলে বা শ্রবণ করলে আমাদের শুভ বা কল্যাণ হয় তাকে
মঙ্গলকাব্য বলে।
• মঙ্গলকাব্যের বিষয় কী?
উত্তর: স্বর্গের কোনো অধিবাসীর পুজো ও মহিমা প্রচার। খুবই সাধারণ অপরাধে অভিশাপ দিয়ে মর্ত্যে পাঠিয়ে দেবদেবী তার পুজো প্রচার করাতে চাইত। পুজো প্রচারের পর তারা আবার স্বর্গে ফিরে যেত।
• মঙ্গলকাব্যের দেবদেবী কারা?
উত্তর: মনসা, চণ্ডী, ধর্ম এবং শিব।
• মনসামঙ্গল কাব্যের অপর একটি নাম বলো।
উত্তর: মনসামঙ্গলের অপর একটি নাম পদ্মাপুরাণ। মনসামঙ্গল কাব্যের দেবীর নাম মনসা, কেতকা বা পদ্মাবতী। সেজন্য কাব্যটির অপর নাম পদ্মাপুরাণ।
• মনসামঙ্গল ছাড়া আর কোন্ কাব্যে সর্প-দেবীর কথা আছে?
উত্তর: ‘বিনয়বস্তু’, ‘সাধনামালা’-তে সর্পদেবীর প্রসঙ্গ আছে।
• মনসাদেবীর কথা আমরা কোথায় কোথায় পাই?
উত্তর: পদ্মাপুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে পাই।
• মনসামঙ্গল কাব্যে কয়টি ধারা দেখতে পাই, সেগুলির নাম বলো।
উত্তর: (ক) রাঢ়ীয় ধারা, (খ) পূর্ববঙ্গীয় ধারা, (গ) উত্তরবঙ্গ ও কামরূপীয় ধারা।
• রাঢ়ীয় ধারার কয়েকজন কবির নাম বলো।
উত্তর: বিপ্রদাস পিল্লাই, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ, রসিক মিশ্র।
• পূর্ববঙ্গীয় ধারার কয়েকজন কবির নাম বলো।
উত্তর: নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বংশী দাস।
• উত্তরবঙ্গ ও কামরূপ ধারার কয়েকজন কবির নাম বলো।
উত্তর: জীবনকৃষ্ণ মৈত্র, জগজ্জীবন ঘোষাল, তন্ত্রবিভূতি।
• মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা, লখীন্দরের স্বর্গে বাসকালীন নাম কী ছিল?
উত্তর: উষা ও অনিরুদ্ধ নাম ছিল।
• ‘চণ্ডী’-র উৎপত্তি কোথা হতে?
উত্তর: চণ্ডী শব্দটি দ্রাবিড় গোষ্ঠীভুক্ত। যদিও মার্কণ্ডেয় পুরাণে চণ্ডীর উল্লেখ আছে। উপজাতিদের মধ্যে ‘চাণ্ডী’ নামে শিকারের দেবী প্রচলিত ছিল; ফলে অনেকের ধারণা দেবী চণ্ডী অস্ট্রিক বা দ্রাবিড় গোষ্ঠীর দেবী।
• ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্য আরও কি কি নামে পরিচিত?
উত্তর: ‘অভয়ামঙ্গল’, ‘ভবানীমঙ্গল’ নামেও পরিচিত।
• ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের কটি খণ্ড?
উত্তর: দুটি। আখেটিক, বণিক খণ্ড।
• ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের ধর্মঠাকুরের আকৃতি কীরূপ?,
উত্তর: কচ্ছপ, কাঁকড়াবিছে, গোলাকার, চৌকো, কোনোটির বিশেষ আকৃতি নেই। তবে কোথাও কোথাও ধর্ম ঠাকুরের সাকার মূর্তির প্রচলন আছে।
• ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের ধর্মঠাকুর সম্বন্ধে ব্যাখ্যা কে করেন?
উত্তর: মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে বৌদ্ধধর্মের প্রচ্ছন্ন রূপ।
• ধর্মঠাকুর-এর মূল গল্প কী?
উত্তর: ধর্মঠাকুরের মূল গল্প রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী। এর সঙ্গে ঐতরেয় আরণ্যকের বিশ্বমিত্র শুনঃশেফের গল্পের মিল আছে।
• ধর্মমঙ্গল কাব্যে কটি ভাগ?
উত্তর: হরিশচন্দ্র আর লাউসেন কাহিনী।
• মনসার পরিচয় দাও।
উত্তর: হিন্দু পুরাণে মনসাকে সর্পকুলের দেবীরূপে বন্দনা করা হয়েছে। মনসা শিবের মানসকন্যা, জরৎকারুর পত্নী, পুত্রের নাম আস্তিক। বৌদ্ধ তন্ত্রসাহিত্যে সর্পদেবতার উল্লেখ আছে, নাম ‘জাঙ্গুলী’।
• মনসা নামের উৎপত্তি বলো।
উত্তর: পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রীর মতে ‘মঞ্চাম্মা’ বা মনোমাঞ্চী থেকেই মনসা নামের উদ্ভব।
• মনসামঙ্গলের আদি কবি কে?
উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানা হরিদত্ত।
• পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথায় মনসামন্দির আছে?
উত্তর: বাঙলাদেশের বাইরে পাঞ্জাবে মনসাদেবীর দুটি মন্দির ও হরিদ্বারের কাছে একটি ছোটো মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
• মনসামঙ্গল কাব্যের চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরীর নাম কী ছিল?
উত্তর: চাঁদের বাণিজ্যতরীর নাম ছিল সুধাকর।
• বিজয় গুপ্তের আবির্ভাবকাল বলো।
উত্তর: ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দ বিজয়গুপ্তের আবির্ভাবকাল।
• কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যের নাম কী?
উত্তর: ক্ষেমানন্দের কাব্যের নাম ‘ক্ষেমানন্দী’।
• মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবদেবীর নাম বলো।
উত্তর: মনসা, চণ্ডী, ধর্ম, শিব, অন্নপূর্ণা।
• দ্বিজবংশী দাসের কাব্যের নাম কী?
উত্তর: ‘মনসা ভাসান’ দ্বিজবংশীর কাব্যের নাম।
• মনসামঙ্গল কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: মনসামঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি নারায়ণ দেব।
• মনসামঙ্গলে চাঁদ সওদাগরের উপাস্য দেবতা কে ছিলেন
উত্তর: শিব।
• বিজয় গুপ্তের উপাস্য দেবতা কে?
উত্তর: বিজয় গুপ্তের উপাস্য দেবতা বিষ্ণু।
• ‘বাইশা’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: বাইশ জন কবির মনসামঙ্গলের সংকলনকে ‘বাইশা’ বলা হয়।
• বিজয় গুপ্তের ছদ্মনাম কী?
উত্তর: বিজয় গুপ্তের ছদ্মনাম রাধানাথ।
• বিজয় গুপ্তের পদ্মপুরাণ কে প্রথম প্রকাশ করেন?
উত্তর: বরিশালের ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্যারীমোহন দাশগুপ্ত দশ-বারোটি পুঁথি সংগ্রহ করে সেগুলির পাঠ মিলিয়ে ১৩০০ সালে পদ্মপুরাণ প্রকাশ করেন।
• বিজয় গুপ্তের পরিচয় দাও।
উত্তর: বরিশাল জেলায় গৈলা ফুল্লশ্রী গ্রামে বিজয় গুপ্তের বাড়ি। পিতা সনাতন, মাতা রুক্মিনী।
• নারায়ণ দেবের কাব্যের নাম কী?
উত্তর: নারায়ণ দেবের কাব্যের নাম পদ্মপুরাণ।
• কোন মঙ্গলকাব্যে ‘ধনা’ নামের চরিত্র আছে?
উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যে ‘ধনা’ নামের চরিত্র আছে।
• উত্তরবঙ্গের কোন্ মনসা পাঁচালী কাব্যের কবির উপাধি ছিল কবিভূষণ?
উত্তর: জীবনকৃষ্ণ মৈত্রের উপাধি ছিল কবিভূষণ।
• রানী ভবানী কোন্ কাব্যে আছে?
উত্তর: জীবনকৃষ্ণ মৈত্রের মনসামঙ্গলে ‘রানী ভবানীর উল্লেখ আছে।
• কেতকাদাসের কাব্যে মনসা দেবী কোন্ রূপে দেখা দিয়েছিলেন?
উত্তর: মনসা দেবী মুচিনীর বেশে দেখা দিয়েছে।
• কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যের নাম কী??
উত্তর: ‘জগতীমঙ্গল’।
• কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের পরিচয় দাও।
উত্তর: সপ্তদশ শতকের মনসামঙ্গল কাব্যের কবি কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ। পিতা শঙ্কর, দামোদরের কাঁদড়া গ্রামে কবি জন্মেছিলেন।
• দ্বিজবংশীর গ্রামের নাম কী?
উত্তর: ফুলেশ্বরী নদীর তীরে পাটোয়ারী গ্রাম।
• কয়েকজন মঙ্গল কবির নাম বলো।
উত্তর: নারায়ণ দেব, বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপ্লাই, কাণা হরিদত্ত, কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ।
• বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্যের রচনাকালজ্ঞাপক শ্লোক লেখো।
উত্তর: শ্লোকটি হল- “ঋতু শূন্য বেদশশী পরিমিত শক। সুলতান হোসেন শাহ নৃপতি তিলক।।”
অর্থাৎ, ঋতু = ৬, x[- i] = 0 বেদ ৪, শশী ১, সুতরাং ১৪০৬ শকাব্দ 9b = ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দ; আবার কেউ বলেছেন ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দ।
• ‘মনসা বিজয়’ কার রচনা? কতগুলি পালা আছে?
উত্তর: বিপ্রদাস, ১৩টি পালা, শেষ পালা চাঁদের মনসাপূজা।
• ‘মনসা বিজয়’ কাব্যটির সম্পাদকের নাম কী?। কোন্ সময়ে এটি সম্পাদিত হয়?
উত্তর: ড. সুকুমার সেন সম্পাদনা করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে।
• মনসামঙ্গলের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নাম বলো।
উত্তর: মনসা, কেতকা, পদ্মাবতী, সেজন্য এই কাব্যের নাম পদ্মপুরাণ।
• সর্পদেবীর প্রাধান্য আছে এমন দুটি গ্রন্থের নাম বলো।
উত্তর: ‘বিনয়বস্তু’, ‘সাধনমালা’।
• কোন্ কোন্ পুরাণে মনসার নাম দেখতে পাই?
উত্তর: ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, পদ্মপুরাণ-এ মনসার উল্লেখ আছে।
• উত্তরবঙ্গ ও আসামের মঙ্গলকাব্যের কবির নাম লেখো।
উত্তর: তন্ত্র বিভূতি, জগজ্জীবন ঘোষাল, জীবনকৃষ্ণ মৈত্র।
• মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা ও লখীন্দরের পরিচয় কী?
উত্তর: স্বর্গের দেবদেবী, এঁদের নাম উযা ও অনিরুদ্ধ।
• কোন্ মনসামঙ্গল কাব্যে মনসা ধর্মপূজা করেছে?
উত্তর: সীতারাম দাসের ‘কমলাকীর্তন’ কাব্যে।
• দ্বিজ বালেশ্বর কোন্ কাব্যগ্রন্থের কবি?
উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যধারার কবি।
• ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি।
• ধর্মমঙ্গলে কোন্ দেবতার মহিমা দেখানো হয়েছে?
উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যে পুরুষ দেবতা ধর্মঠাকুরের মহিমা দেখানো হয়েছে।
• ধর্মঠাকুরের কোনো নির্দিষ্ট রূপাবয়ব আছে কি?
উত্তর: ধর্ম দেবতার কোনো নির্দিষ্ট রূপ নেই। পাথরে ধর্মঠাকুরের আকৃতি পাদুকা চিহ্নিত কূর্মাকৃতি, কোথাও ডিম্বাকৃতি, আবার কোথাও পিতলের চক্ষুযুক্ত প্রতীকি।
• ‘শূন্যপুরাণের’ লেখকের নাম কী?
উত্তর: শূন্যপুরাণের লেখক রাখা পণ্ডিত।
• ধর্মঠাকুরকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ দেবতা কে বলেছেন?
উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ধর্মঠাকুরকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ দেবতা বলেছেন।
• ধর্মঠাকুরকে কারা পুজো করেন?
উত্তর: ধর্মঠাকুর হাঁড়ি, ডোম, তাঁতি, বাগদি সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের দ্বারা পূজিত হন।
• ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের দুটি চরিত্রের নাম বলো।
উত্তর: ইছাই ঘোষ এবং লাউসেন ধর্মমঙ্গল কাব্যের দুটি চরিত্র।
• হরিশচন্দ্র, রোহিতাশ্বের কাহিনী কোন্ কাব্যের অন্তর্গত?
উত্তর: হরিশচন্দ্র, রোহিতাশ্বের কাহিনী ধর্মমঙ্গল কাব্যের অংশ।
• ধর্মপুজো প্রবর্তন কাহিনীর দুটি ভাগের নাম বলো।
উত্তর: (১) সদা খণ্ড, (২) সংজাত খণ্ড। কোনো কোনো পুঁথিতে গীত পুরাণ বলা হয়েছে।
• ধর্মমঙ্গল কাব্যের কটি পালা?
উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের ২৪টি পালা।
• ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কা?
উত্তর: ঘনরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম ‘শ্রী ধর্মমঙ্গল’।
• প্রথম ছাপানো ধর্মমঙ্গল কার?
উত্তর: ঘনরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল প্রথম ছাপানো হয়।
• ইছাই ঘোষের রাজ্যের নাম বলো।
উত্তর: ঢেকুর গড়ে ইছাই ঘোষ রাজত্ব করতেন।
• ধর্ম দেবতার অপর নাম কী?
উত্তর: ধর্মঠাকুরের অপর নাম বাঁকুড়া রায়।
• ধর্মমঙ্গলের আদি কবি কে?
উত্তর: ময়ূর ভট্ট ধর্মমঙ্গলের আদি কবি।
• ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কে রাঢ়ের জাতীয় কাব্য বলেছেন?
উত্তর: ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় ধর্মমঙ্গল কাব্যকে রাঢ়ের জাতীয় কাব্য
রলেছেন।
• খেলারাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কী?
উত্তর: খেলারাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম ‘গৌঢ় কাব্য’।
• সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর দুজন করে ধর্মমঙ্গল রচয়িতার নাম বলো।
উত্তর: সপ্তদশ শতাব্দীর রূপরাম চক্রবর্তী, রামদাস আদক। অষ্টাদশ শতাব্দীর হৃদয়রাম সাউ এবং মাণিকরাম গাঙ্গুলি।
• ‘নিরঞ্জনমঙ্গল’ কাব্যের কবি কে?
উত্তর: শ্যাম পণ্ডিত ‘নিরঞ্জনমঙ্গল’-এর কবি।
• রামদাস আদকের কাব্যের নাম কি?
উত্তর: রামদাস আদকের কাব্যের নাম ‘অনাদিমঙ্গল’।
• সহদেব চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কি?
উত্তর: ‘অনিলপুরাণ’ সহদেব চক্রবর্তীর কাব্যের নাম।
• জালালি কালিমা কোন্ দেবতার নামে প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: ধর্মঠাকুরের সঙ্গে।
• অনাদ্যের পুঁথি কি জাতীয় রচনা?
উত্তর: ধর্মপূজার বিধান সম্বলিত রচনা।
• রূপরাম চক্রবর্তীর কাব্যের নাম কী?
উত্তর: অনাদ্যমঙ্গল রূপরাম চক্রবর্তীর কাব্য।
• ঘনরাম চক্রবর্তী কার কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন?
উত্তর: বর্ধমান রাজ কীর্তিচন্দ্রের নিকট থেকে। শ্রীধর্মসঙ্গীত রচনার জন্য পান।
• চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে?
উত্তর: চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি মানিক দত্ত।
শ্রীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উত্তর: কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি।
• কবিকঙ্কনের জন্মভিটা কোথায়?
উত্তর: বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে জন্ম কবি কঙ্কনের।
• দ্বিজমাধবের কাব্যের নাম লেখো।
উত্তর: দ্বিজমাধবের কাব্যের নাম ‘সারদামঙ্গল’।
• ‘মঙ্গল চণ্ডীর গীত’ কাব্যের রচনাকারের নাম বলো।
উত্তর: দ্বিজমাধব মঙ্গল চণ্ডীর গীত রচনা-করেছেন।
• কবিকঙ্কন কাব্য লেখার জন্য কোন্ রাজার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন?
উত্তর: ব্রাহ্মণ জমিদার বাঁকুড়া রায়ের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।
• কবিকঙ্কনের চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের নাম কী ছিল?
উত্তর: কবি কঙ্কনের কাব্যের নাম ‘অভয়ামঙ্গল’, তাছাড়া গৌড়ী মঙ্গল ও অম্বিকা মঙ্গল নামেও কাব্য পরিচিত আছে।
• ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি কবি কার নিকট হতে পেয়েছিলেন?
উত্তর: রঘুনাথ রায় ‘কবিকঙ্কন’ উপাধি কবিকে দিয়েছিলেন।
• কবিকঙ্কনের চণ্ডীমঙ্গল আরও কোন্ কোন্ নামে পরিচিত?
উত্তর: মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল ‘গৌরীমঙ্গল’, ‘অভয়ামঙ্গল’, ‘অম্বিকামঙ্গল’ নামে পরিচিত।
• চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের দুটি চরিত্র ও বণিক খণ্ডের দুটি চরিত্রের নাম বলো।
উত্তর: আখেটিক খণ্ডের প্রধান দুটি চরিত্র কালকেতু, ফুল্লরা। বণিক খণ্ডের খুল্লনা, শ্রীমন্ত।
• চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে যে স্বর্গবাসী চরিত্র অভিশপ্ত হয়ে মর্ত্যে আসে সেই চরিত্রগুলির নাম বলো।
উত্তর: বণিক খণ্ডের চরিত্র ধনপতির স্ত্রী খুল্লনা এবং পুত্র শ্রীমন্ত। খুল্লনা-রত্নমালা, ধনপতির পুত্র শ্রীমন্ত হল মালাধর। কালকেতু ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বর, ফুল্লরা হল তাঁর স্ত্রী ছায়া।
• মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলের রচনাকাল বলো।
উত্তর: “শাকে রস রসে বেদ শশাঙ্ক গণিতা। কত দিনে দিলা গীত হরের বনিতা।।”
চণ্ডীমঙ্গল ১৪৯৯ শক বা ১৪৯৯ + ৭৮ ১৫৭৭ সালে রচিত।
• চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের দুজন ঐতিহাসিক ব্যক্তির নাম বলো।
উত্তর: মানসিংহ, ডিহিদার মামুদ শরীফ।
• চৈতন্যযুগের একজন কবির নাম বলো।
উত্তর: দ্বিজমাধব বা মাধবাচার্য, মুকুন্দরাম।
• দ্বিজমাধবের কাব্যটি চট্টগ্রামে কী নামে অভিহিত?
উত্তর: চট্টগ্রামে দ্বিজমাধবের কাব্যটি ‘জাগরণ’ নামে অভিহিত।
• মুকুন্দ চক্রবর্তীর বাবা, মা-এর নাম কী?
উত্তর: বাবা- হৃদয় মিশর, মা দৈবকী।
• মুকুন্দ চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের ঈর্ষাপরায়ণ শঠ ব্যক্তি কে?
উত্তর: ভাঁড়ু দত্ত অসাধারণ ঈর্ষাপরায়ণ শঠ ব্যক্তি।
• চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে মুরারী শীল কী কাজ করে?
উত্তর: মুরারী শীল একজন বণিক। সে কুসীদজীবী।
• সপ্তদশ শতাব্দীর কয়েকজন মঙ্গলকবির নাম বলো।
উত্তর: দ্বিজরাম দেব, দ্বিজ হরিরাম, মুক্তারাম সেন।
• দুর্গামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কে?
উত্তর: দ্বিজ কমললোচন ও ময়মনসিংহের ভবানীপ্রসাদ রায়, মার্কণ্ডেয় পুরাণের
চণ্ডী কাহিনী নিয়ে ‘দুর্গামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন।
• কবি ভারতচন্দ্র কোন্ যুগের কবি?
উত্তর: কবি ভারতচন্দ্র অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি।
• কবি ভারতচন্দ্রের প্রতি বাংলার কোন্ কবি বিশেষ অনুরাগী ছিলেন?
উত্তর: কবি ঈশ্বর গুপ্ত ভারতচন্দ্রের অনুরাগী ছিলেন।
• ভারতচন্দ্রের জন্মকাল কবে?
উত্তর: ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জন্ম।
• কবি ভারতচন্দ্রের জন্মস্থান, কোথায়?
উত্তর: হুগলি জেলার ভুরশুট পরগণার পেঁড়ো গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্ম।
• ভারতচন্দ্রের বাবার নাম কী?
উত্তর: কবির বাবার নাম নরেন্দ্র নারায়ণ রায়।
• ভারতচন্দ্রের কোন্ কাব্যের জন্য কে তাঁকে উপাধি দেন?
উত্তর: কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কবিকে ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের জন্য রায়গুণাকর উপাধি দেন।
• ভারতচন্দ্রের অপর আরো কয়েকটি সাহিত্যের নাম বলো।
উত্তর: ‘সত্যপীরের পাঁচালি’, ‘রসমঞ্জরী’, ‘বিবিধ কবিতাবলী’, ‘নাগাষ্টক’, ‘চণ্ডী নাটক’, এছাড়া তরুণ বয়সে কবি সত্যপীরের পাঁচালির দুটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা রচনা করেন।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য কটি কাব্যের যোগে হয়েছে?
উত্তর: তিনটি কাব্য- অন্নদামঙ্গল, অন্নপূর্ণামঙ্গল বা মানসিংহ, কালিকামঙ্গল বা বিদ্যাসুন্দর।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের প্রথম অংশে তিনটি উপকাহিনী কী কী?
উত্তর: প্রথম তিনটি উপকাহিনী হল হর-পার্বতী ও ব্যাসদেব, হরিহোড়-ভবানন্দ এবং মানসিংহ।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে হরিহোড় কে?
উত্তর: হরিহোড় কুবেরের অনুচর, শাপভ্রষ্ট হয়ে মর্ত্যে জন্মগ্রহণ করে দেবী অন্নদার কৃপায় দারিদ্রাবস্থাকে জয় করেন। পরে হরিহোড় দেবী অন্নপূর্ণার পূজা প্রচার করেছেন।
• ‘নূতন মঙ্গল আসে ভারত সরস ভাষে’ নূতন মঙ্গল কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: কবি ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য কাঠামোয় নূতন জীবন চেতনার বার্তাবাহী, তিনি চিরাচরিত রীতিতে নূতন ভাবধারা প্রকাশ করেছেন। দেবদেবীরা স্বর্গলোক ও স্বর্গের মহিমা ছেড়ে বঙ্গ নরনারীতে পরিণত হয়েছে। দেবতার গায়ে ধূলা নিক্ষেপ করে বাংলা কাব্যে আধুনিকতার শুরু।
• ‘রাজকণ্ঠের মণিমালার মতো, যেমন তাহার উজ্জ্বলতা তেমনই তাহার কারুকার্য কার উক্তি?
উত্তর: ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য সম্পর্কে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের উক্তি।
• বিদ্যাসুন্দর কাব্যের বিষয় কী?
উত্তর: আদিরসাত্মক কাব্য, রাজকুমারী বিদ্যার সঙ্গে রাজকুমার সুন্দরের গোপন প্রণয় দেখানো হয়েছে।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে দেবদেবী ও মনুষ্য চরিত্রগুলি বলো।
উত্তর: অন্নদা, মহাদেব, মেনকা, পার্বতী, দক্ষ, নারদরতি, নারায়ণজায়া দেবদেবী। ঈশ্বরী পাটনি, হরিহোড়, ব্যাসদেব মনুষ্য চরিত্র।
• কবি ভারতচন্দ্র ছাড়া আরও একজন কবি ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্য লেখেন?
উত্তর: সাধক কবি রামপ্রসাদ সেন ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্য লেখেন।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের মানসিংহ খণ্ডের ঐতিহাসিক চরিত্রের নাম বলো।
উত্তর: মানসিংহ ও জাহাঙ্গীর দুটি ঐতিহাসিক চরিত্র।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের কোন্ খণ্ডকে অতিরঞ্জিত বলা হয়?
উত্তর: ‘মানসিংহ’ বা অন্নপূর্ণামঙ্গল খণ্ডটিকে অতিরঞ্জিত আখ্যা দেওয়া হয়।
• ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ভারতচন্দ্র কোন্ কোন্ ছন্দ ব্যবহার করেছেন?
উত্তর: ভুজঙ্গ প্রয়াত, তোটক, তোণক দলবৃত্ত ছন্দ ব্যবহার করেছেন।
• কবি ভারতচন্দ্র কোন্ কোন্ অলংকার ব্যবহার করেছেন?
উত্তর: অনুপ্রাস, যমক, উপমা, শ্লেষ, রূপক, ব্যজস্তুতি ও উৎপ্রেক্ষা অলংকার ব্যবহার করেছেন।
• কবি মধুসুদন এই কাব্যের ছন্দ ও বাক্রীতি নিয়ে কোন্ কাব্যে ব্যবহার করেছেন?
উত্তর: কবি মধুসূদন ব্রজাঙ্গনা কাব্য রচনা করেছেন।
• ভারতচন্দ্র কোন্ কোন্ ভাষা রপ্ত করেছিলেন?
উত্তর: সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষা রপ্ত করেছিলেন।
• ইউসুফ-জোলেখা কী ধরনের কাব্য?
উত্তর: রোমান্টিক প্রণয়মূলক আখ্যান।
• কাব্যটি কে রচনা করেছেন?
উত্তর: শাহ্ মহম্মদ সগীর কাব্যটি রচনা করেছেন।
• কত সালে কাব্যটি রচিত হয়?
উত্তর: যোড়শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়।
• এই কাব্যের ভাষা কে কোন্ কাব্যের পরের ভাষা বলেছেন?
উত্তর: আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ঈষৎ পরবর্তীকালের
ভাষা বলেছেন।
• জোলেখা কার কন্যা ছিল?
উত্তর: তৈমুস নামে এক রাজার কন্যা ছিল।
• স্বপ্নে জোলেখা কাকে দেখেন?
উত্তর: আজিজ মিশিরকে স্বপ্নে দেখেন জোলেখা।
• জোলেখার প্রিয়তম কে?
উত্তর: জোলেখার প্রিয়তম ইউসুফ।
• দৌলত কাজী কোন্ রাজসভার কবি?
উত্তর: দৌলত কাজী আরাকান রাজসভার কবি।
• দৌলত কাজী কোন্ ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন?
উত্তর: দৌলত কাজী সুফী মতাবলম্বী ছিলেন।
• কবির জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: চট্টগ্রামের রাউজান থানার সুলতানপুরে কবির জন্ম।
• কোন্ ব্যক্তিত্বের অনুকূলে কবি দৌলত কাব্য লেখেন?
উত্তর: রোসাঙ্গরাজ থিরি-থু-ধম্মার সেনাপতি আশরফ খানের পৃষ্ঠপোষকতায় দৌলত কাজী কাব্য লেখেন।
• দৌলত কাজীর লেখা কাব্যের নাম কী?
উত্তর: ‘লোরচন্দ্রানী’, ‘সতীময়না’।
• দৌলত কাজীর অকাল প্রয়াণের পর কার নির্দেশে কে কাব্যটি শেষ করেন?
উত্তর: ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে সৈয়দ আলাওল সতীময়না কাব্যের সম্পূর্ণতা দান করেন আরাকান রাজ সান্দু-থু-ধম্মার প্রধানমন্ত্রী সুলেমানের নির্দেশে।
• অপর কোন্ কোন্ কাব্যে দৌলত কাজীর কাব্য কাহিনী মেলে?
উত্তর: মুল্লা দাউদের ‘চন্দায়ন’ কাব্য। প্রাচীন নানা গ্রন্থাদিতে, বিহারে প্রচলিত লোরকমল্লের গল্পে। এছাড়া সালারজঙ্গ (হায়দরাবাদ) মিউজিয়ামে দক্ষিণী ভাষাষ লেখা একটি পুঁথিতেও পাওয়া যায়।
• আলাওল কোন্ রাজসভার কবি?
উত্তর: আরাকান রাজসভার কবি।
• আলাওলের জন্ম কখন কোথায়?
উত্তর: ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে চট্টগ্রামে তাঁর জন্ম।
• কবির পিতা কোন্ রাজার মন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর: কবির পিতা ফতেহাবাদের মজলিস কতুবের মন্ত্রী ছিলেন।
• ‘হপ্তপয়কর’ কত খ্রিস্টাব্দে লেখা?
উত্তর: ইরানীয় কবি নেলেমি সমরকন্দের ‘সপ্তপয়কর’ গ্রন্থের আখ্যান এই গ্রন্থের আশ্রয়।
• তোহফা কী ধরনের কাব্য?
উত্তর: তোহফা একটি ফার্সি নীতিকাব্য।
• ‘পদ্মাবতী’ কত খ্রিস্টাব্দে রচিত হয়?
উত্তর: ১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দে রচিত হয়।
• ‘পদ্মাবতী’ কোন্ কাব্যের অনুবাদ?
উত্তর: ‘পদ্মাবতী’ মালিক মহম্মদ জায়সীর লেখা ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ।
• ‘পদ্মাবতী’ কিপ্রকার কাব্য?
উত্তর: পদ্মাবতী ইতিহাসাশ্রিত রোমান্টিক প্রেমকাব্য।
• কবি আলাওল কতগুলি ভাষায় পারঙ্গম ছিলেন?
উত্তর: আরবি, ফার্সি, সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় কবি পারঙ্গম ছিলেন।
• কার নির্দেশে আলাওল কাব্য লেখেন?
উত্তর: আরাকানের প্রধানমন্ত্রী মাগন ঠাকুর, অর্থমন্ত্রী সুলেমান, প্রসিদ্ধ পণ্ডিত সৈয়দ মুসা, সৈয়দ মসুদ শাহ এবং আরাকান রাজ শ্রীচন্দ্র সুধর্মার নির্দেশে কাব্য রচনা করেন।
• জায়সীর পদুমাবৎ কোন্ রাজার সময়ে লেখা?
উত্তর: ‘শেরশাহের রাজত্বকালে হিন্দী ভাষায় ‘পদুমাবৎ’ কাব্য রচিত হয়।
• ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের নায়িকা কে?
উত্তর: ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের নায়িকা পদ্মিনী।
• ‘সয়ফুলমূলক বদিউজ্জমাল’ কত সালে লেখা এবং কীরূপ কাব্য?
উত্তর: ১৬৫৮-৬০ খ্রিস্টাব্দে লেখা ইসলামীয় রোমান্টিক কাব্য।
• বৈষ্ণব সাহিত্য যেমন রাধাকৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তেমনি শাক্তসাহিত্য কোন্ দেবতাকে কেন্দ্র করে লিখিত?
উত্তর: শাক্ত সাহিত্য উমা-পার্বতী-চণ্ডী-কালিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
• শাক্ত পদাবলীর আর এক নাম কী?
উত্তর: শাক্ত পদাবলীর অপর নাম মালসী।
• অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাঙলার সুবাদার কে ছিলেন?
উত্তর: অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাঙলার সুবাদার ছিলেন মুর্শিদকুলি খাঁ।
• মুর্শিদকুলি খাঁর পরে বাঙলার কর্তা কে ছিলেন?
উত্তর: সুজাউদ্দিন, সরফরাজ ও নবাব আলিবর্দী কর্তা হয়েছিলেন।
• বাঙলাদেশে শক্তি পুজোর প্রচলন কখন হয়?
উত্তর: অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে বাঙলাদেশে শক্তিপুজোর প্রচলন।
• শাক্ত কবিরা কীপ্রকার সাধনা করতেন?
উত্তর: শাক্ত কবিরা তান্ত্রিক সাধনা করতেন।
• মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন্ প্রকার সাহিত্য প্রচলিত ছিল?
উত্তর: আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্য নামে দুটি ধারা প্রচলিত ছিল।
• আখ্যানকাব্য ও গীতিকাব্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর: আখ্যানকাব্যের মধ্যে মঙ্গলকাব্য, চরিত সাহিত্য; ও অনুবাদ সাহিত্যের স্থান: গীতিকাব্য হল বৈষ্ণব পদাবলী ও শাক্ত পদাবলী।
• অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙলাদেশের গৃহধর্মের বাস্তব দিকটি কোন্ গানে প্রকাশ
পেয়েছে?
উত্তর: ‘আগমনী’ ও ‘বিজয়া’ গানে গৃহধর্মের বাস্তব দিকটি ফুটে উঠেছে।
• শাক্ত পদাবলীর মাধ্যমে প্রকাশিত শক্তি সাধনার দুটি বিশেষ রূপ-এর নাম কী?
উত্তর: কন্যাসাধনা ও মাতৃসাধনা শক্তিসাধনার দুটি রূপ।
• সাধককবি রামপ্রসাদ সেনের জন্ম ও মৃত্যুসাল বলো।
উত্তর: আনুমানিক ১৭২০-২১ খ্রিস্টাব্দে হালিশহরে জন্ম নেন, ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে দেহত্যাগ করেন।
• কবি রামপ্রসাদ সাহিত্য ছাড়া আর কী কাজ করতেন?
উত্তর: কবি রামপ্রসাদ কলকাতায় জমিদারের সেরেস্তায় মুহুরির কাজ করতেন।
• কবি রামপ্রসাদ কার পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন?
উত্তর: কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
• কবি কোন্ উপাধি পান কী রচনার জন্য?
উত্তর: কবি ‘বিদ্যাসুন্দর’ বা ‘কালীকীর্তন’ রচনার জন্য কবিরঞ্জন উপাধি পান।
• কবি রামপ্রসাদের সুরের নাম কী?
উত্তর: কবি রামপ্রসাদের সুর প্রসাদী সুর নামে পরিচিত।
• রামপ্রসাদের মৃত্যু কোথায় হয়?
উত্তর: শ্যামাপূজার বিসর্জনের দিন গঙ্গাতীরে সজ্ঞানে দেহত্যাগ করেন।
• রামপ্রসাদের কাব্যের নাম বলো।
উত্তর: কালীকীর্তন ও কৃষ্ণকীর্তন নামে দুটি ক্ষুদ্র কাব্য লিখেছিলেন।
• সাধক কমলাকান্তের ‘ভট্টাচার্য’ উপাধি প্রচলিত হলেও প্রকৃত উপাধি কী? উত্তর: কমলাকান্তের ‘ভট্টাচার্য’ উপাধি প্রচলিত হলেও প্রকৃত উপাধি ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’।
• তাঁর লেখা অন্ত্রবিষয়ক গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: ‘সাধকরঞ্জন’ নামে তন্ত্রবিষয়ক গ্রন্থ লিখেছিলেন কবি।
• কবি কমলাকান্তের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: বর্ধমান জেলার কালনা তাঁর নিবাস ও জন্মস্থান।
• কবি কার সভাপণ্ডিত ছিলেন?
উত্তর: কবির চরিত্র ও পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে বর্ধমানরাজ তেজশ্চন্দ্র তাকে গুরুপদে বরণ করেন এবং সভাপণ্ডিত করেন।
• কমলাকান্তের কতগুলি গান আছে?
উত্তর: প্রায় তিনশত গান আছে।
• কবি কমলাকান্তের পদসংগ্রহ কোথায় পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর: দেহত্যাগের পর কবির প্রামাণিক পদসংগ্রহ বর্ধমান রাজবাটী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
• কবির সাধনপীঠ কোথায় ছিল?
উত্তর: বর্ধমানের কোটালঘাটে সাধনপীঠ ছিল। সেখানে পঞ্চমুণ্ডির আসন তৈরি করে কালী সাধনা করতেন।
• কবি কাকে সৎমা বলে ভাবতেন?
উত্তর: কবি শ্যামাভক্ত ছিলেন তাই কবি গঙ্গাকে সৎমা ভাবতেন।
• আগমনী ও বিজয়ার পদে কমলাকান্ত গানকে কি বলতেন?
উত্তর: মালশ্রী রাগে গাওয়া হত বলে গানকে মালসী বলা হত।
• কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের আবির্ভাবকাল বলো।
উত্তর: কবির জন্ম অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে। তিনি উনবিংশ শতাব্দীতে পদ রচনা করেছেন। বলা যায় ঊনবিংশ শতাব্দীর কবি।